তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সামান্য মোবাইলে মেসেজ দেখা নিয়ে বচসা। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। রাগের মাথায় এক বন্ধুর ধাক্কায় প্রাণ হারাল অন্য বন্ধু। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মাটিগাড়ার পতন চা-বাগান এলাকায়। ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে অপর বন্ধুর নামে মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করার ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সাহিল মুন্ডা। তাঁর বাড়ি পতন চা বাগান এলাকায়। পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ঋত্বিক মুণ্ডা (২৯)। ধৃত সাহিল এবং ঋত্বিক বন্ধু হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন মাটিগাড়া থানার অধীন পতন চা বাগান এলাকায় দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা বাঁধে। বচসার নেপথ্যে ছিল মোবাইল ফোন।
[আরও পড়ুন: এ যেন অন্য ক্ষুদিরাম! ২৫ টাকা সম্বলে ‘অশিক্ষা দানবে’র বিরুদ্ধে লড়াই বাঁকুড়ার শিক্ষকের]
জানা গিয়েছে, ওইদিন সন্ধে থেকেই দুই বন্ধু নেশাগ্রস্ত ছিল। রাতে মোবাইল ফোনে একটি মেসেজ কে আগে দেখবে তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। সেই সময় সাহিল ঋত্বিককে ধাক্কা দেয়। পড়ে গিয়ে একটি পাথরে ধাক্কা লাগে তাঁর। চোট লাগে মাথায়। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মাটিগাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসা শুরু হলেও ফল মেলেনি। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসা শুরু হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসকরা ঋত্বিককে মৃত বলে ঘোষণা করে।
ওইদিন সন্ধেবেলায় ঋত্বিকের পরিবারের তরফে মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় সাহিলকে। বুধবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার বলেন, “খুনের মামলা রুজু করে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”