সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্মুখে সেমিস্টার। এদিকে বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছেন। এটিএমের সামনে ধরনা দেওয়া ছাড়া গতি নেই। হাতে সময়ও নেই। তাই লাইনে দাঁড়িয়েই বইয়ের পাতায় চোখ বোলালেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।
নোট বাতিলের পর থেকে বেজায় সমস্যায় পড়েছে সারা দেশের মানুষ। কিন্তু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সমস্যাটা বেশ অন্যরকম। তাঁদের সামনেই পরীক্ষা। এখন নাওয়া খাওয়া ছেড়ে পড়ার সময়। কিন্তু যাঁরা পেয়িং গেস্ট থাকেন তাঁদের কাছে বারবার আসছে বাড়িওয়ালার তাগাদা। প্রধানমন্ত্রী যতই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলুন না কেন, এই বাড়িওয়ালারা কেউ অ্যাকাউন্টে টাকা নিতে রাজি নন। তাঁদের হাতেও টাকা নেই। পড়ুয়াদের হাতেও নেই। এদিকে টাকা তোলার উর্ধ্বসীমা ২৫০০। কিন্তু বেশিরভাগ সময় দুহাজার টাকার বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। আর বাড়িভাড়া কমপক্ষে ৬,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা। কাজেই এই পরিমাণ টাকা তুলতে এটিএমে লাইন দিতে হচ্ছে তাঁদের। সেখানে চলে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাহলে পড়াশোনা হবে কী করে! উপায় না দেখে এটিএমের লাইনে দাঁড়িয়েই বইয়ের পাতায় চোখ বোলাতে হচ্ছে তাঁদের।
এতেও ঝক্কির কমতি নেই। এটিএম গুলোয় খুব তাড়াতাড়ি টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই কখন কোন এটিএমে টাকা আসছে সেদিকেও নজর রাখতে হচ্ছে তাঁদের। সবমিলিয়ে পড়াশোনায় মনযোগের যে দফারফা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
The post সামনে পরীক্ষা, এটিএমের লাইনে দাঁড়িয়েই বইয়ে চোখ পড়ুয়াদের appeared first on Sangbad Pratidin.