স্টাফ রিপোর্টার: একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে ১৬ জানুয়ারি পিজি হাসপাতালে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব ছিল পিজি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররাও যেন দল বেঁধে গ্রামে যান। প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে মিশে তাঁদের চিকিৎসা করেন। যাতে রাজ্যের একমাত্র মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বাড়ির চৌকাঠে পান প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষেরা। বাস্তবায়িত হল মমতার সেই প্রস্তাব।
মঙ্গলবার পিজি হাসপাতালের ৩৬ জন চিকিৎসককে নিয়ে একটি বাস রওনা দেয় পশ্চিম মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে। সূচনা করেন পিজির অর্ধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। মেডিসিন, শিশুরোগ, ত্বক, এন্ডোক্রোনোলজি, কার্ডিওলজি, নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসকরা রয়েছেন এই দলে। রয়েছেন, জুনিয়র, ইন্টার্ন, এসআর-সহ কয়েকজন শিক্ষক-চিকিৎসক। ইসিজি ও প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য টেকনোলজিস্টদেরও পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘মানুষের জন্য কাজ করতে পারিনি’, আলিপুরদুয়ার ফিরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব সুমন কাঞ্জিলাল]
সূত্রের খবর, আশা কর্মীদের মাধ্যমে অন্তত ১,১০০ জনকে পরীক্ষা করা হবে। দেখা হবে কী সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সফলভাবে পালন করতে সোমবার রাতেই পিজির অতিরিক্ত মেডিক্যাল সুপার, অমিত মজুমদার, সহকারী সুপার হীরক চক্রবর্তী ও চিকিৎসক রণজিৎ সাহা ও হীরক কাপ্তান ঝাড়গ্রামে চলে যান। সূত্রের খবর, মাসে তিনটি করে ক্যাম্প হবে। ক্যাম্পেই ওষুধ মিলবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পর সুন্দরবনের মানুষের কাছে যাবেন পিজির চিকিৎসকরা। এই ধরণের কমর্সূচিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসকদের সম্মানিত করার চিন্তাভাবনা করছে পিজি’র কতৃর্পক্ষ।