শুভঙ্কর বসু: কাঁথির চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাবের দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। ঘটনাচক্রে ওই ক্লাবের সভাপতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhiakri)। বুধবার এই মামলায় বিশেষ অফিসার নিয়োগ করেছিল উচ্চ আদালত। ওইদিনই কাঁথি শহরে গিয়ে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন হাই কোর্ট-নিযুক্ত প্রতিনিধি। তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার পুজোর অনুমতি দিল হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ।
২২ বছর ধরে দুর্গাপুজো করছে কাঁথির (Kanthi) চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাব। তবে আগে পুজোটি হত অন্য এক জায়গায়। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের সেচমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যে সেচ দপ্তরের অধীন জমিতে এই ক্লাবের পুজো শুরু হয়। ক্লাব কর্তাদের অভিযোগ, এবছর ১৬ আগস্ট যাবতীয় নিয়ম মেনে সেচ দপ্তরের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। ১৯ আগস্ট অনুমতি মিলেছিল অনুমতি। কিন্তু পরে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, শুভেন্দু অধিকারীকে ক্লাবের সভাপতি পদ থেকে না সরানো হলে পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না।
[আরও পড়ুন: মৃত দলীয় নেতার দেহ নিয়ে মিছিল, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পুলিশ-BJP সংঘর্ষ, অশান্ত কালীঘাট]
এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। প্রথমে মামলাটি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে উঠেছিল। বিচারপতি নির্দেশ দেন, যেহেতু লিখিতভাবে পুজোয় অনুমতি বাতিলের কথা জানায়নি প্রশাসন, তাই চারদিনের মধ্যে লিখিতভাবে তাদেরকে অবস্থান জানাতে হবে। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে উঠলে আদালত জানায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবেন স্পেশ্যাল অফিসার। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় বিচারপতিরা ডিভিশন বেঞ্চ অনুমতি দেন। পুজোর অনুমতি দিল হাইকোর্ট। তবে আদালতের নির্দেশ, লক্ষ্মীপুজোর (Laxmi Puja) পর ১৮ অক্টোবরের মধ্যেই মাঠ খালি করে দিতে হবে পুজো কমিটিকে।