সুমন করাতি, হুগলি: রীতি মেনে আজও বলি দেওয়া হয় চালকুমড়ো। ভোগে থাকে ইলিশের টক। আজও হুগলির (Hooghly) চাঁপদানির মুখোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন হিন্দু-মুসলিম সকলেই। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
বহুবছর ধরে হুগলির চাঁপদানি এলাকায় বাস মুখোপাধ্যায় পরিবারের। কলকাতায় ব্যবসা রয়েছে তাঁদের। প্রায় ৩৫০ বছর আগে দুর্গা পুজো শুরু হয় হুগলির বাড়িতে। বাঙালি, অবাঙালি-শুধুই নয়, মুসলিমরাও শামিল হয় এই পুজোয়। প্রতিমা আনা থেকে শুরু করে পুজোর কাজে অংশ নেওয়া সবেতেই অংশগ্রহণ করে সব ধর্মের মানুষ। বেশ কিছু অভিনব রীতি রয়েছে এই পুজোয়। সপ্তমীতে স্নান করানো হয় কলাবউকে। ১৪ রকমের নৈবেদ্য-সহ প্রতিদিন পুজো দেওয়া হয় দেবী দুর্গাকে। একইসঙ্গে তিনদিন মাটির হাঁড়িতে ইলিশের টক দেওয়া হয় ভোগ হিসেবে।
[আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা, কবে বদলাবে পরিস্থিতি?]
রয়েছে চালকুমড়ো বলি দেওয়ার রীতিও। সন্ধিপুজোয় ১০৮ প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীকে বরণ করেন বাড়ির বউরা। দশমীর বরণে রয়েছে অন্য নিয়ম। এদিন পরিবারের বিবাহিত মেয়েরা প্রথমে দেবী বরণ করেন। তার পর অংশ নেন বাড়ির বউরা। নিয়ম মেনে আজও বিসর্জনের পর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সময় এগিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা কাজের তাগিদে অন্যত্র গিয়েছেন। তবে আজও পুজোর এই চার দিন সকলে মিলিত হন হুগলির বনেদি বাড়িতে।