সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে শারদীয়া দুর্গোৎসব। সোমবার সকালে নবমী পুজো হয়ে গেল যজ্ঞ, চণ্ডীপাঠের মধ্যে দিয়ে। ফরিদপুর জেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে তিনশোরও বেশি প্রতিমার পুজো চলছে। যা বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। মণ্ডপে নানা পৌরাণিক কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। ফরিদপুর জেলায় এবার ৮৩৪টি মন্দির মণ্ডপে দুর্গাপূজার (Durga Puja) আয়োজন করা হয়েছে। ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্যে দিয়ে চাঁদপুর গ্রামের যশোদা জীবন দেবনাথের বাড়ির মণ্ডপ ও আলফাডাঙা উপজেলা সদরের কুশুমদী মহল্লার শ্রী শ্রী হরিমন্দিরের মণ্ডপ।
ফরিদপুর (Faridpur) জেলা পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি যশোদা জীবন দেবনাথ। তাঁর বাড়িতে বৃহৎ পরিসরে তিন শতাধিক প্রতিমা নিয়ে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব প্রতিমার মাধ্যমে পৌরাণিক নানা কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর শ্রী শ্রী হরিমন্দিরে ২০১টি প্রতিমা নিয়ে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার সকালে নবমী পুজো ছিল। ফরিদপুর শহরের শরৎ সাহার বাড়ির পূজামণ্ডপের পুরোহিত জানান, এবার ১৩ অধ্যায়ের চণ্ডীপাঠ ষষ্ঠী থেকেই শুরু করা হয়েছিল। এরপর সপ্তমী, অষ্টমীতে ধারাবাহিকভাবে চণ্ডীপাঠ করে নবমী পূজোয় ইতি টানা হয়। এর পর যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবমী পূজা শেষ হয়।
[আরও পড়ুন: পূর্বাভাস সত্যি করে নবমীর দুপুরেই নামল বৃষ্টি! মনখারাপ মণ্ডপমুখী জনতার]
এবছর ফরিদপুরে ৮৩৪টি মন্দির-মণ্ডপে দুর্গাপুজো চলছে। গত বছর জেলায় পুজো হয়েছিল ৮২৯টি। এক বছরের ব্যবধানে মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে পাঁচটি। জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ফরিদপুর জেলায় দুর্গাপূজা সারা দেশের মধ্যে ব্যতিক্রম। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করায় দর্শনার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পূজা দেখতে আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মঙ্গলবার দেবী বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে দুর্গাপুজোর সমাপ্তি ঘটবে।