সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাংবাদিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ছাত্র-জনতার 'গণ অভ্যুত্থানে' দেশছাড়া হওয়ার পর থেকে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। এদিকে, মুজিবকন্যার পরিবারের পাঁচ সদস্যের বাড়ি ও জমি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, গত বছর ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মহম্মদ আব্দুন নূর নামের এক সাংবাদিক নিহত হন। সেই ঘটনায় হাসিনা-সহ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নিহতের বাবা মামলাটি দায়ের করেন। তৎকালীন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ,হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাক্তন ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ, প্রাক্তন অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার প্রমুখকে এই ঘটনায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী আবুল বাশার বলেন, আব্দুন নূর ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকার একটি পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। আন্দোলনের সময় ১ আগস্ট তিনি ঢাকায় আসেন এবং যাত্রাবাড়ীতে ৫ আগস্ট গুলিতে মারা যান। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ এবং আওয়ামি লিগের নেতাকর্মীরা হামলা ও গুলি চালালে মাথায় গুলি লাগে আব্দুনের। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, শেখ হাসিনার পরিবারের পাঁচ সদস্যের বাড়ি ও জমি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। বাজেয়াপ্তে হওয়া সম্পত্তির মধ্যে হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ঢাকার বারিধারার ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বাড়ি রয়েছে। খুলনার দিঘলিয়ায় শেখ রেহানা, পুতুল এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে থাকা ৬১ লাখ ৮৭ হাজার টাকার ৭০ শতাংশ জমিও রয়েছে। এছাড়া একই জায়গায় রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব ববি এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের ৪১ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকার ৮৭ শতাংশ জমি ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ রেহানার নামে থাকা ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার জমিও জব্দ করা রয়েছে।
