সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে যশোরেশ্বরী মন্দিরে কালীমূর্তির মুকুট চুরি, ঢাকার পুজোমণ্ডপে পেট্রলবোমা, ছুরি হামলা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। নয়াদিল্লির স্পষ্ট অভিযোগ, এসব ঘটনা পবিত্রতা নষ্টের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র। এতে চরম উদ্বেগে সরকার। রাজনৈতিক পালাবদলের প্রতিবেশী দেশের 'অরাজকতা' দেশের জন্য চরম উদ্বেগের হয়ে যাচ্ছে বলে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ''আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, ঢাকার তাঁতিবাজারে একটি পুজোমণ্ডপে হামলা, যশোরেশ্বরী মন্দিরে কালীমূর্তির স্বর্ণমুকুট চুরির মতো ঘটনা পর পর ঘটেছে। এগুলো সবই ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্ট করার জন্য ধারাবাহিক চক্রান্ত বলে মনে করছি। হামলার ভঙ্গিমায় তা স্পষ্ট।''
শুক্রবার রাতে পুরাতন ঢাকার তাঁতিবাজারের একটি পুজোমণ্ডপে ‘পেট্রলবোমা’ ছোড়া হয়। তাতে সামান্য আগুন ধরলেও কেউ হতাহত হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুজোমণ্ডপের পাশের একটি গলি থেকে কয়েকজন যুবক মণ্ডপ লক্ষ্য করে একটি বোতল ছুড়ে মারে। স্বেচ্ছাসেবকেরা হামলাকারীদের ধরতে গেলে তারা ছুরিকাঘাত করে। এতেই অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। কালো হয়ে যাওয়া সলতে-সহ পেট্রলভর্তি কাচের বোতলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগেও মণ্ডপে ইসলামী গান গাওয়ায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য, দুর্গাপুজোয় যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন নির্বিঘ্নে, নিরাপদে আনন্দ করতে পারেন, তার জন্য আমরা আগেই বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু উৎসবের আবহে পর পর মন্দির, মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে গেল। আবারও আবেদন জানাই, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নজর দিন। তাঁরা আতঙ্কে রয়েছে।'' যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের দাবি, এসব ঘটনা রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক নয়।