সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবেশী গ্রহের ঝড় কতটা ভয়াবহ, তা নিয়ে আলোচনা চলছিলই বিজ্ঞানী মহলে। এবার তার প্রকৃতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা প্রকাশ্যে আনলেন তাঁরা। বলা হচ্ছে, এই ঝড় এতটাই ভয়ংকর যে পৃথিবীর পাঠানো মঙ্গলযান ‘পার্সিভিয়ারেন্স’-এর (Perseverance) বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই তা অনেকটা প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ‘পার্সিভিয়ারেন্স’-এর দু’দিকের কাচ ক্ষতিগ্রস্ত বালিঝড়ের দাপটে। ঘনঘন আঁধির আবির্ভাব হচ্ছে লালগ্রহের মাটিতে।
নাসার মঙ্গলযান ‘পার্সিভিয়ারেন্স’ এই মুহূর্তে মঙ্গলের (Mars) মাটিতে চষে বেড়াচ্ছেন তার খুঁটিনাটি জানার জন্য। বিশেষ নজর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে। সম্প্রতি তার রোভারটি ঘুরে দেখে প্রকৃতি বিশ্লেষণ করছে। কিন্তু লালগ্রহের মাটিতে আচমকা ঝড় ওঠায় সেই কাজ বারবার ব্যাহত হচ্ছে। এই ঝড় নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ পত্রিকায়। তাতে বলা হচ্ছে, ঝড়ের সময় নাকি ঘনঘন বালি ওড়ে লালগ্রহে। তা চলতে থাকে এক ঘণ্টা ধরে। তার সঙ্গে ওড়া বালির দানায় (Sand grains) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোভারের সেন্সর। রোভারটি মঙ্গলে টানা ২১৬ দিন কাটিয়ে, বিশ্লেষণ করে এমনই তথ্য দিয়েছে ‘পার্সিভিয়ারেন্স’। আর তার তথ্যের উপর ভিত্তি করেই মঙ্গল সংক্রান্ত গবেষণা এগিয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার পর অবশেষে বদলি পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার]
এই গবেষণাপত্রের মূল লেখক ক্লেয়ার নিউম্যান বলেন, “মঙ্গলের প্রতিটি নতুন অংশে ল্যান্ড করার পর আমরা প্রতিবার এর আবহাওয়া নিয়ে বিশ্লেষণ করার নতুন সুযোগ পাই। সেই জানুয়ারি থেকে ধুলোঝড়ের মুখে পড়েছি আমরা। এখনও মনে হচ্ছে, ঝড়ের মাঝখানেই রয়েছি আমরা। মঙ্গলের জমির যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই এই ঝড়। মনে হচ্ছে, এমনটা আরও সহ্য করতে হবে।” পার্সিভিয়ারেন্সের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে মঙ্গলের ঝড়। চার বর্গ কিলোমিটারের মতো বিশাল জায়গা জুড়ে মেঘ জমে সেখানে, আর মেঘের মধ্যে ঝড়ের ঘূর্ণন। তার গতি উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে।