স্টাফ রিপোর্টার: কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত জয়ের পর অনেকটাই ফুরফুরে থাকার কথা ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের। কিন্তু সাহেব কোচের স্বস্তিতে থাকার উপায় কোথায়! কার্ড সমস্যায় দলের একাধিক ফুটবলারকে পাবেন না নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের (North East United) বিরুদ্ধে। ফলে লিগের ‘সহজতম’ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বুধবার দল সাজানো নিয়ে নতুন চাপে কনস্ট্যানটাইন।
শেষ ম্যাচে জোড়া হলুদ কার্ড দেখেছেন মোবাসির রহমান। লিগে সাত নম্বর হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন ভিপি সুহের। ফলে নর্থ-ইস্ট ম্যাচে তাঁদের পাবে না ইস্টবেঙ্গল। অথচ কেরালার বিরুদ্ধে জয়ের অন্যতম কারিগর এই দু’জনই। বিশেষত পরের দিকে সুযোগ পাওয়া মোবাসির মাঝমাঠ দলের ক্ষেত্রে কার্যকর হওয়ায় আক্রমণের ঝাঁঝ বেড়েছে ইস্টবেঙ্গলের। আবার সুহেরও শরীর কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে ঠেকানোর কাজটা ভালভাবেই করছেন। এই অবস্থায় বুধবার প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে শৌভিক চক্রবর্তী আর হিমাংশু জ্যাংরার নাম। অন্যদিকে, স্কোয়াডে থাকবেন না অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। ম্যানেজমেন্টের তরফে করা শো-কজের জবাব এখনও দেননি তিনি। ফলে তাঁর পরিবর্তে মহম্মদ রাকিপই থাকছেন দলে।
[আরও পড়ুন: বিপক্ষের আক্রমণ থেকে দলকে বাঁচাতেন, ভূমিকম্প প্রাণ কাড়ল তুরস্কের গোলকিপারের]
মোবাসিরদের অনুপস্থিতিতে বাকিদের উপর ভরসা রাখার চেনা কথাই শোনা গেল স্টিফেনের কথায়, “এজন্যই স্কোয়াডে ২৪ জন থাকে। চোট, কার্ড সমস্যা থাকবেই। ওরা ভাল খেলছিল, ফলে ওদের অভাব মেটানো সহজ নয়। কিন্তু সেটা তো আমার হাতে নেই। পরিবর্তে যারা সুযোগ পাবে, তাদের নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। কারণ ভাল খেললে তারা আবার সুযোগ পাবে। যেমন আগের ম্যাচে রাকিপ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।” তবে লিগ টেবলের তলায় থাকা নর্থ-ইস্টকেও সমীহ করছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ, “ফুটবল মাঠে খেলা হয়। ফলে ওরা কেমন খেলছে, সেটাই আসল। কয়েকজন নতুন ফুটবলার আসায় দল হিসাবে ওরা উন্নতি করছে। আমাদের ফোকাস হারালে চলবে না।” যদিও হারের হ্যাটট্রিক করে কলকাতায় এসেছে ভিনসেঞ্জো অ্যানেসের দল।
আর সপ্তাহ দুয়েক পরই কলকাতা ডার্বি। তবে এখন থেকেই বড় ম্যাচ নিয়ে ভাবতে নারাজ স্টিফেন। তাঁর সাফ কথা, “ডার্বি জিতেও তো সেই তিন পয়েন্টই পাব! এমন তো নয় যে ওই ম্যাচটা জিতলে ১০ পয়েন্ট পাওয়া যাবে। ১০ পয়েন্ট পাওয়া গেলে ভাবতাম। তাই এখন শুধুই নর্থ-ইস্ট নিয়ে পরিকল্পনা করছি।” তবে একইসঙ্গে স্টিফেন মানছেন, “এটা ঠিক যে ডার্বির আগে কয়েকটা ম্যাচ জিততে পারলে আমরা ওই ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী হয়েই নামব। কেরালাকে হারানোর পর যেমন ছেলেরা বিশ্বাস করছে, আমরা লিগের (ISL) সবচেয়ে খারাপ নই।”