সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী মরশুমে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাব আইএসএল-সহ (ISL) দেশের সব টুর্নামেন্টই খেলবে। গত দু’ বছরের থেকে নতুন মরশুমের আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল ভাল ফল করবে বলেই বিশ্বাস করেন ক্লাবকর্তারা। লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ”দু’ বছরের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল স্বমহিমায় ফিরবে।”
কিন্তু আইএসএল খেলতে গেলে দরকার অর্থ। শ্রী সিমেন্ট (Shree Cement) ইতিমধ্যেই ক্লাবকে ফিরিয়ে দিয়েছে স্পোর্টিং রাইটস। সেই চিঠি আইনজীবীদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই সঙ্গে নতুন স্পনসরের জন্য একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পাশে রয়েছেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন কর্তাদের। অন্যদিকে বসুন্ধরা গোষ্ঠীর সঙ্গে কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। ওপার বাংলা থেকে বসুন্ধরার শীর্ষকর্তারা এসেছিলেন লাল-হলুদ তাঁবুতে। ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও একাধিকবার যান সেদেশে। বসুন্ধরা গোষ্ঠীর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিছু বিষয় নিয়ে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন বসুন্ধরা কর্তারা। ইতিবাচক কিছু হবে বলেই আশাবাদী লাল-হলুদ।
শ্রী সিমেন্ট সরে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে এগারো জন ফুটবলারের বকেয়া অর্থ মেটাবে কে? সেই বকেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকার কাছাকাছি। বুধবার ক্লাবতাঁবুতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা জানান, তাঁরা এখনও বিশ্বাস করেন যে এই বকেয়া মিটিয়ে দেবে শ্রীসিমেন্ট। নিজেদের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করবে না শ্রী সিমেন্ট। সেই সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ভাবমূর্তিও কলুষিত করবে না তারা। কী হবে, তার উত্তর দেবে সময়।
[আরও পড়ুন: ধোনির সামনেই নিখুঁত হেলিকপ্টার শট সিরাজের! জোর চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায়]
এদিন ক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু রায়-সহ আরও অনেকে। শ্রী সিমেন্ট যে স্পোর্টিং রাইটস ফেরত দিতে চলেছে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ১৭ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন ক্লাবকর্তাদের।দেবব্রত সরকার বলেন, ”আমরা আগে থাকতেই জানতাম। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীই আমাদের ১৭ ফেব্রুয়ারি তা জানিয়েছিলেন। ফলে মানসিক দিক থেকে আমরা প্রস্তুতও ছিলাম। ক্লাবের প্রতি অবদানের জন্য শ্রী সিমেন্টকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। তবে এখন সামনের দিকে তাকানোর সময় এসেছে।”
প্রসঙ্গত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই ইনভেস্টর সমস্যার সামাধান হয়েছিল লাল-হলুদের। শ্রীসিমেন্ট ইনভেস্টর হওয়ায় প্রথম বার আইএসএ খেলার স্বাদ পায় ইস্টবেঙ্গল। গত বছর শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে সংঘাত এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মেগা টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া নিয়ে রীতিমতো সংশয় দেখা যায়। এক্ষেত্রেও মুসকিল আসানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মুখ্যমন্ত্রী। এবারও স্পনসর পাওয়ার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতেই পারেন।
শ্রী সিমেন্টের আমলে আইএসএলে হতশ্রী পারফরম্যান্স করে ইস্টবেঙ্গল। গতবার মেগা টুর্নামেন্টে শেষ স্থান দখল করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। নতুন মরশুমে আইএসএলে নামবে ইস্টবেঙ্গল। আর ক্লাবকর্তারা আশাবাদী গত দু’ বারের থেকে এবার ভাল ফল করবে লাল-হলুদ।