অর্ক দে, বর্ধমান: পনেরো বছর আগে বাড়িতে হালকা খয়েরি রঙের জবা ফুলের গাছ পুতেছিলেন গৃহকর্তা। দিব্যি ফুল ফুটেছিল সেই গাছে। একদিন সকালে উঠে দেখেন ওই গাছেই ধরেছে একটি লাল টকটকে জবা। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না গৃহকর্তা। এ তো অলৌকিক ঘটনা! গাছজুড়ে খয়েরি ফুল, অথচ তার পাশে একটির রঙ বেমানান টকটকে লাল!
পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) জামালপুরের পর্বতপুর এলাকার বাসিন্দা কালীদাস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাড়িতে রয়েছে অসংখ্য ফুল গাছ। তার মধ্যে সাত রকমের জবা গাছ। ১৫ বছর আগে খয়েরি জবার গাছ পুতেছিলেন সাধের বাগানে। সম্প্রতি সেই গাছেই ঘটেছে আশ্চর্য কাণ্ড। খয়েরি জবা গাছে ফুটেছে লাল ফুল জবা। স্বভাবতই কালীদাসের বাগানের বিরল জবা গাছ দেখতে ভিড় করছেন এলাকার লোকজন। সকলেই বলছেন, এমন কাণ্ড আগে দেখেননি, শোনেনি। তবে কিনা এই ঘটনা আশ্চর্যের নয়, বিশেষ বৈজ্ঞানিক কারণেই এমনটা ঘটতে পারে। কীভাবে?
[আরও পড়ুন: ‘সনাতন ধর্মকে অপমান, নীরব রাহুল-উদ্ধব’, প্রতিপক্ষকে হিন্দুত্বের তাসেই তোপ অনুরাগের]
জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক সুদীপ কুমার ভকতের বক্তব্য, “টাইম এরোরের কারণে এই ঘটতে পারে। দীর্ঘদিন পর পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বা অভিযোজনের ফলে গাছের জিনগত পরিবর্তন ঘটে থাকে অনেক ক্ষেত্রে। এর ফলে গাছের একটি ডালে আলাদা রঙের ফুল ফুটে থাকে। ফুলের রঙ নির্ধারনের জন্য যে জিন কাজ করে, সেই জিনের পরিবর্তনের জন্যেই এই কাণ্ড।”
[আরও পড়ুন: মোদি-সৌদি যুবরাজের কৌশলগত বৈঠক, শক্তি, প্রতিরক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস]
কালীদাস কিন্তু বাড়ির বাগানের গাছের কাণ্ডে হতবাক। তাঁর কথায়, “আমার ৮০ বছর বয়স হল। ফুলের বাগান করা দীর্ঘদিনের শখ। বাড়িতে নানা ধরনের ফুলের গাছ রয়েছে। প্রায় সাত রকমের জবা ফুলেরই গাছ রয়েছে। একমাত্র এই গাছেই বিরল ঘটনা ঘটল।”