সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন করে দাপাতে শুরু করেছে ওমিক্রন (Omicron)। পরিস্থিতি সামলাতে নাইট কারফিউয়ের (Night curfew) পথে হাঁটছে বহু রাজ্যই। এই পরিস্থিতিতে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গ্রেটার নয়ডায়। রাতে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে এক ক্রেতাকে খাবার দিতে অস্বীকার করায় গুলি করে খুন করা হল দোকানদারকে। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঠিক কী হয়েছিল? হাপুরের বাসিন্দা কপিল নয়ডায় একটি রেস্তরাঁ চালাতেন। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সমস্ত রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখারা নির্দেশ থাকায় রেস্তরাঁ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। এই অবস্থায় প্রায় মধ্যরাতে তাঁর দোকানে হাজির হয় দুই আগন্তুক। তারা পরোটা চাইলে কপিলা জানায়, রেস্তরাঁ বন্ধ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই লকডাউন নয়! ইঙ্গিত মিলল মোদির কথায়]
শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। ক্রমে তা পৌঁছয় চরমে। খানিক পরে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি সেখান থেকে চলে যায়। এরপর তারা ফিরে আসে সাড়ে তিনটের সময়। তাদের সঙ্গে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। একজনের গুলিতে সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন কপিল। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি ওই দোকানদারকে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দুই অভিযুক্তের নাম আকাশ ও যোগেন্দ্র। গত ২-৩ বছর ধরে তারা মাঝে মাঝেই ওই রেস্তরাঁয় খেতে যেত। কিন্তু এতদিনের পরিচয় সত্ত্বেও কী করে সামান্য ঝগড়ার ফলশ্রুতিতে এমন নির্মম ভাবে মারা হল কপিলকে, সেকথাই ভেবে পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারা ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। দু’জনকেই পুলিশ হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। নাইট কারফিউতে দোকান বন্ধ রাখার কারণে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। একবার ফের তেমনই ঘটনা ঘটল নয়ডায়।