শুভঙ্কর বসু: রাজ্যে হিংসামুক্ত বিধানসভা ভোট করাতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে বারবার কড়া বার্তা দিয়েছে কমিশন। এবার খাস কলকাতার (Kolkata) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নের মুখে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
কলকাতার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল কমিশন (Election Commission of India)। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে বদ্ধপরিকর তারা। প্রয়োজনে বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তও নিজেদের হাতে রাখতে চায় তারা। এবার কলকাতায় কেন এত রাজনৈতিক হিংসা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কমিশন।
[আরও পড়ুন : জল্পনাই সত্যি! রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে। জানতে চাওয়া হয়, রাজ্যের রাজধানী হওয়া সত্ত্বেও এখানে কেন এত রাজনৈতিক হিংসা? কমিশনের প্রশ্ন, খাস কলকাতায় এই পরিস্থিতি হলে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের পরিস্থিতি কী হবে? জানতে চাওয়া হয়, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা থাকা সত্বেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। কেন শান্তি ফেরানো যাচ্ছে না কলকাতায়? এরপরই কমিশন নির্দেশ দেয়, কলকাতায় অবিলম্বে শান্তি ফেরাতে হবে। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারেন তেমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সবমিলিয়ে কলকাতার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কমিশনের কড়া প্রশ্নমালার মুখে পড়লেন পুলিশ কমিশনার।
[আরও পড়ুন : ভোটে সিভিক-গ্রিন পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের রাশও থাকতে পারে কমিশনের হাতেই]
এবারের ভোটে (Assembly Election 2021) পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার হাল ফেরাতে উঠে পড়ে লেগেছে কমিশন। বিগত নির্বাচনগুলির অভিজ্ঞতার নিরিখে এবার হিংসা ঠেকাতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে তারা প্রস্তুত। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের এক কর্তার কথায়, “বিগত ভোটগুলিতে যে হিংসার ছবি রাজ্যে ধরা পড়েছে তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এবার প্রথম থেকেই হাল ধরতে চাইছে কমিশন। উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন রাজ্যে এসেই সেই মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন।” গত কয়েকদিন আগেই রাজ্যে এসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার। অবিলম্বে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে বলার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলার হাল ফেরাতে যথাসম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুদীপ জৈন। এবার কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।