সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ভারতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে আছে। সংসদে আর্থিক সমীক্ষা পেশ করে দাবি করলেন অর্থনীতি নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। তাঁর দাবি, কোভিডের ধাক্কা সামলে সরকারের সুচিন্তিত নীতির সুবাদে অর্থনীতি যে কোনও ধরনের আর্থিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আগামী অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির গতির স্থিতাবস্থা নিয়েও আশাবাদী অর্থমন্ত্রী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁর দাবি, আগামী অর্থবর্ষে নিয়ন্ত্রণে থাকবে মুদ্রাস্ফীতির হারও।
আর্থিক সমীক্ষায় (Economic Survey) আগামী অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারের অনুমান রাখা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ। নির্মলা সীতারমণের দাবি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে চলেছে অন্তত ৮.২ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের চারটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে তিনটিতেই আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের বেশি থাকবে বলে দাবি অর্থমন্ত্রীর। চলতি অর্থবর্ষের এই বৃদ্ধির হার আগামী অর্থবর্ষেও বজায় থাকবে বলে দাবি করা হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়। সেটার ভিত্তিতেই বৃদ্ধির হার হতে চলেছে ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: হরপ্পা সভ্যতার নাম বদলে সিন্ধু-সরস্বতী! ফের বিতর্কে NCERT]
এই মুহূর্তে দেশের সব প্রান্তেই বাজারদর অগ্নিমূল্য। সবজি, আনাজের দাম হাতে ছ্যাঁকা দেওয়ার মতো। সেসব উপেক্ষা করেই আর্থিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনই নিয়ন্ত্রণে থাকবে মুদ্রাস্ফীতি। সার্বিকভাবে আগামী অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতির হার থাকতে পারে ৪.৫ শতাংশ। যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Resereve Bank) নির্ধারিত মাত্রার মধ্যেই থাকছে। পরের বছর সেটা আরও কমে ৪.১ শতাংশ হতে পারে বলে দাবি।
[আরও পড়ুন: ‘দলের হয়ে লড়াই শেষ, এবার দেশের কথা ভাবুন’, বাজেট অধিবেশনের আগে হুঁশিয়ারি মোদির]
তবে সরকারও মেনে নিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে বেড়েছে খাদ্যসামগ্রীতে মূল্যবৃদ্ধির হার। এই মুহূর্তে খাদ্যসামগ্রীতে মুদ্রাস্ফীতির আর ৭.৫ শতাংশ। যা কিনা বেশ উদ্বেগজনক। তবে খুচরো পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে দাবি সরকারের। গত অর্থবর্ষে খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যেখানে ৬.৭ শতাংশ ছিল, সেখানে চলতি অর্থবর্ষে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৫ শতাংশ।