সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকের সঙ্গে গাড়িতে লং ড্রাইভে যাচ্ছিল সাও পাওলোর কিশোরী। সঙ্গী ২৬ বছরের যুবক। গাড়ির মধ্যেই উভয়ে মেতে উঠেছিল উদ্দাম যৌনতায় (Sex)। আর তাতেই নেমে এল ঘোর বিপদ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর পনেরোর কিশোরীর। ব্রাজিলের (Brazil) সাও পাওলোর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রহস্যমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তবে তার সঙ্গীকে মৃত্যুর মামলা থেকে সম্পূর্ণরূপে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সাও পাওলোর নিহত তরুণীর নাম গ্যাব্রিয়েলি ডিকসন। তার বয়স ১৫ বছর। ব্রাজিলে মেয়েদের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের (Consent) জন্য আইনি বয়স ১৪ বছর। এই বয়স পেরলেই নিজের ইচ্ছেমতো যৌনসঙ্গী বেছে নিতে পারে মেয়েরা। সেভাবেই গ্যাব্রিয়েলি ২৬ বছরের সঙ্গীর সঙ্গে গাড়িতে বেড়াতে গিয়ে যৌনতায় লিপ্ত হয়। তার সঙ্গী জানিয়েছে, সঙ্গমের সময় তিনি আচমকা খেয়াল করেন যে মেয়েটি ধীরে ধীরে ফ্যাকাশে (Pale) হয়ে যাচ্ছে। তার ঠোঁট, ত্বক বিবর্ণ হচ্ছে। হাত ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। তিনি সচেতন হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিকে নিয়ে যান হাসপাতালে। কিন্তু কয়েকঘণ্টা পর চিকিৎসকরা জানান, কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে মেয়েটি সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে (heart attack) আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছে। তবে পুলিশ রহস্যমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।
[আরও পড়ুন: ২০২১ সালে স্নাতক পাশরা চাকরির যোগ্য নন! HDFC ব্যাংকের বিজ্ঞাপনে বিতর্ক]
যেহেতু ব্রাজিলে মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের জন্য উপযুক্ত বয়স ১৪ বছর, তাই গ্যাব্রেয়েলির প্রেমিককে মৃত্যু মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ধরে নেওয়া হয়েছে, গ্যাব্রিয়েলি স্বেচ্ছায় সঙ্গীর গাড়িতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল। তাকে খুন করেছে প্রেমিক – এমন কোনও প্রমাণ আপাতত মেলেনি। চিকিৎসকরা গ্যাব্রিয়েলির প্রাণহানির নেপথ্যে হৃদরোগকে দায়ী করলেও পুলিশ সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। তার আগে পর্যন্ত রহস্যমৃত্যু হিসেবেই মামলার তদন্ত চলছে।