সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ও দিল্লি হাই কোর্টে লাগাতার ধাক্কা খাওয়ার পর অবশেষে কিছুটা স্বস্তি পেলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি নতুন করে তাঁর নামে আরও কিছু বেনামী সম্পত্তির হদিশ পাওয়ার কথা জানিয়ে অনুব্রতকে নতুন করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে বিশেষ সিবিআই আদালতে বিচারক রঘুবীর সিংয়ের এজলাসে আসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পিএমএলএ আইনের ৫০ নম্বর ধারার উল্লেখ করে তৃণমূল নেতাকে হেফাজতে চায় ইডি।
এদিন শুনানিতে অনুব্রতর আইনজীবি সম্পৃক্তা ঘোষাল এর তীব্র বিরোধিতা করে দাবি করেন, উক্ত আইনে তাঁদেরই হেফাজতে নেওয়া যায়, যাঁরা পুলিশ বা বিচারবিভাগীয় – কোনও হেফাজতেই নেই। যেহেতু অনুব্রত জেল হেফাজতে রয়েছেন, তাই এই ধারা তাঁর ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে না। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: ক্যারিবিয়ান মাটিতে অভিষেক, জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামছেন বাংলা দলের মুকেশ]
গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালত ও দিল্লি হাই কোর্টে বারবার জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রত। প্রতিবারই হতাশ হতে হয়েছে। শুক্রবারও রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে রয়েছে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদনের শুনানি। সূত্রের খবর, সেই শুনানিতে অংশ নেবেন না অনুব্রতর আইনজীবীরা। শনিবার রাউস অ্যাভিনিউর ডিস্ট্রিক্ট জাজের এজলাসে রয়েছে বেঞ্চ বদলের আবেদনের শুনানি। আপাতত এদিকেই বেশি জোর দিচ্ছেন অনুব্রতর আইনজীবীরা।