সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় বিআরএস নেত্রী কে কবিতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক চার্জশিট প্রকাশ্যে আনল ইডি। যেখানে দাবি করা হয়েছে, আবগারি মামলায় প্রায় ১১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র কে কবিতা ২৯২.৮ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে সামিল। এই বিপুল টাকার মধ্যে ১০০ কোটি টাকা শুধুমাত্র আপ নেতাদের ঘুষ দিয়েছেন বিআরএস নেত্রী। এবং মদের সংস্থা 'ইন্ডো স্পিরিট' তৈরি করে আর্থিক তছরুপের মাধ্যমে সেখান থেকে লাভ দেখানো হয়েছে ১৯২.৮ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর সমস্ত ডিজিটাল নথি নষ্ট করেছেন ওই নেত্রী। তাঁর ৯টি ফোনের সমস্ত তথ্য নষ্ট করা হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
ইডির অভিযোগ, বিআরএস নেত্রী কে কবিতা (K Kavitha) তাঁর সহযোগী বৈনপালির নামে থাকা ইন্দো স্পিরিটস থেকে ৫.৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি, এই বিপুল দুর্নীতির মাধ্যমে কে কবিতা ও তাঁর সহযোগিরা প্রায় ১১০০ কোটি টাকায় ফায়দা তুলেছিল। যে টাকার একটা বড় অংশ সরকারি আধিকারিক, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রভাবশালীদের ঘুষ হিসেবে দেওয়া হয়। চার্জশিটে ইডির আরও অভিযোগ, কে কবিতা এই মামলায় সাক্ষীদেরকেও প্রভাবিত করে। কে কবিতার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বুচি বাবু তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২৩ ফেব্রিয়ারি ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ইডিকে দেওয়া তাঁর বয়ান প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। সব মিলিয়ে এই দুর্নীতি মামলায় একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হল ইডির চার্জশিটে।
এদিকে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কে কবিতার হেফাজতের মেয়াদ ৩ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। পাশাপাশি এই মামলায় অন্য ৩ অভিযুক্ত প্রিন্স, অরবিন্দ এবং দামোদরকে ব্যক্তিগত ১ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ মার্চ কে কবিতাকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তার পর থেকে ইডি ও সিবিআইয়ের নাগপাশে ভালমতোই জড়িয়েছেন তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রায়ের কন্যা। মামলার তদন্তে একাধিক লুপহোলের পাশাপাশি তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, এই দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছে সাউথ গ্রুপ নামে আরও একটি সংস্থা। যার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে কে কবিতার।