সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত আরও বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, ওই সম্পত্তির সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(Partha Chatterjee) যোগ থাকতে পারে। তবে সম্পত্তিগুলি পার্থর নামে না হলেও বেনামে কেনা কি না, তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।
ইডির সূত্র জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগামী সপ্তাহে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া। কিন্তু তদন্ত এখনও থেমে থাকেনি। সম্প্রতি তদন্ত চালাতে গিয়েই ইডি আধিকারিকরা বীরভূম জেলায় কয়েকটি জমির হদিশ পান। নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় ওই জমি কেনা হয়েছে, এমনই তথ্য আসে ইডি আধিকারিকদের হাতে। এই বীরভূমের বোলপুরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে একটি বাড়ির হদিশ পেয়েছিল ইডি। সেই সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্তও করে। ফের ইডির তদন্তে উঠে আসে পাঁচটি সম্পত্তি, তথা জমির তথ্য। কয়েক কোটি টাকা দামের এই জমিগুলির মালিকদের নাম ইডি জানতে পেরেছে। ওই জমি মালিকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, এমন তথ্য এসেছে ইডির কাছে। পার্থর অত্যন্ত পরিচিত কয়েকজনকে জেরা করে এই বিষয়টি জানতে পারেন ইডি আধিকারিকরা। তাই এই জমিগুলি নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় কেনা, এমন সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি ইডির। তবে এই তথ্যগুলি যাচাই করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই ঘোষিত নয়া রেপো রেট, স্বস্তি পেল আমজনতা?]
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২২ সালের জুলাই মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। গ্রেপ্তারের আগে এবং পরে পার্থর বান্ধবী হিসেবে প[অরিচিত অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়। অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে ২২ কোটির বেশি এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২৭কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়। এ ছাড়া ওই দুই ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর বিদেশি মুদ্রা, ৪ কোটির সোনা এবং অসংখ্য জীবন বিমা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত শুধু প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মোট ১৩৫ কোটি টাকা নগদ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এছাড়া প্রাথমিক এবং নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩৬৫.৬০ কোটির সম্পত্তি।