বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে ইডি জানিয়েছে, আমেদাবাদের বিশেষ আদালতে বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত আইনে সাকেতের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তার উপর ভিত্তি করেই চার্জ গঠন করা হয়েছে।
ইডির বক্তব্য নিয়ে বুধবার এক্স হ্যান্ডলেই পাল্টা সরব হয়েছেন সাকেত। সেখানে দীর্ঘ বিবৃতিতে সাকেত যা লিখেছেন তার সারমর্ম, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ইডি তাঁর মামলা সংক্রান্ত বিবৃতি জারি করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখ বন্ধ করানোর অভিযোগ করে তাঁকেও ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করেছেন সাকেত। দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর তাঁর ভরসা রয়েছে বলেও মন্তব্যও করেছেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি আরও লিখেছেন, মাত্র ৫০০ টাকার জন্য আমার বিরুদ্ধে তছরুপের অভিযোগ এনেছে।
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দু-সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিন্তিত ১৪০ কোটি ভারতীয়’, লালকেল্লা থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বার্তা মোদির]
একটা রুটিন মামলাকে এমনভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছে যেন এটা ইডির বড় কোনও সাফল্য। মামলা চলাকালীন আদালতের বাইরে কীভাবে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাকেত। সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, মাত্র একজন সাক্ষীর বিবৃতির উপর ভিত্তি করে ইডি পুরো মামলা সাজিয়েছে। ২০২০ সালে পাওয়া ৫০০ টাকার প্রেক্ষিতে দু-বছর পরে ২০২২ সালে তছরুপের অভিযোগে এফআইআর করা হয়। এদিন সাকেত তাঁর বিবৃতিতে ইডির এই মামলা শেষ পর্যন্ত ধোপে টিকবে তো? প্রশ্ন তুলেছেন ঘুরপথে।
[আরও পড়ুন: গভীর রাতে রণক্ষেত্র আর জি কর, চিকিৎসকদের মারধর, হাসপাতালে তাণ্ডব বহিরাগতদের]
এদিকে, ইডি আরও জানিয়েছে, সাকেতের বিরুদ্ধে এক কোটি সাত লক্ষ টাকা অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এই অর্থ ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে দান হিসাবে সংগ্রহ করা হয়েছিল। যা সাকেত ব্যক্তিগত কারণে ব্যয় করেছেন বলেই অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ২০২২ সালে সাকেতকে প্রথমে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করে আহমেদাবাদ পুলিশ। পরে মামলার তদন্তভার পেয়ে ইডি তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল। বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন সাকেত। ইডি এক্স-বার্তায় আরও জানিয়েছে, পিএমএলএ আইনে চার্জ গঠন এড়াতে ফৌজদারি দণ্ডবিধির (ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা) ৩০৯ ধারায় সাংসদ সাকেত যে আবেদন জানিয়েছিলেন, আমদাবাদের বিশেষ পিএমএলএ আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে।