সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘিবলি জ্বরে ভুগছে গোটা বিশ্ব। সোশাল মিডিয়া খুললেই দেখা যাচ্ছে, কার্টুন স্টাইলের মজার মজার ছবি। তারকা থেকে সাধারণ নেটিজেন, নিজেকে কার্টুন চরিত্রে দেখার লোভ সামলাতে পারছেন না কেউই। বিশ্বজুড়ে ঘিবলি স্টাইলের এই জনপ্রিয়তায় নাজেহাল অবস্থা প্রস্তুতকারী সংস্থা 'চ্যাটজিটিপি'র (ChatGPT)। কাজের চাপে রাতের ঘুম ওড়ার জোগাড় হয়েছে সংস্থার কর্মীদের। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে এবার সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দিলেন সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান।

অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ঘিবলির বিপুল জনপ্রিয়তার জেরে সংস্থার সার্ভারে বিরাট চাপ পড়েছে। 'চ্যাটজিটিপি'র সিইও অল্টম্যান গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, 'চ্যাটজিপিটি'র ইমেজ জেনারেটরের বিপুল চাহিদার কারণে ওপেনএআই-এর জিপিইউগুলি 'গলে' যাচ্ছে। এই অবস্থায় ছবি তৈরির সীমা নির্ধারণ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছি আমরা। গ্রাহক প্রতিদিন তিনটি করে ছবি তৈরি করতে পারবেন।' তাতে অবশ্য নেটিজেনদের আগ্রহ কিছু কম হয়নি বরং আরও বেড়েছে। যার জেরে খাওয়া-ঘুম উড়ে গিয়েছে সংস্থার কর্মীদের।
কোটি কোটি মানুষের ছবি বানানোর আগ্রহের জেরে ইন্টারনেট স্লো হয়ে গিয়েছে সংস্থার, বসে গিয়েছে সার্ভার। এই ঘটনায় নেটিজেনদের ধৈর্য ধরার আবেদন জানিয়ে রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে স্যাম অল্টম্যান লেখেন, 'ছবি তৈরির সময় একটু ধৈর্য ধরুন। যা চলছে এটা পাগলামি। আমাদের টিমেরও ঘুম দরকার।' অর্থাৎ অল্টম্যানের বার্তায় স্পষ্ট যে ঘিবলির জনপ্রিয়তা ঘুম ছুটিয়েছে 'চ্যাটজিটিপি'র কর্মীদের। জানা যাচ্ছে, ঘিবলির জেরে ওভারটাইম কাজ করতে হচ্ছে সেখানকার কর্মীদের। চাপ সামলাতে ও পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে ছবি তৈরির পরিমাণ কমিয়েও দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নেটিজেনদের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করলেন 'চ্যাটজিটিপি'র সিইও।
উল্লেখ্য, জাপানের রাজধানী টোকিওয় অবস্থিত এক বিশ্বখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিওর নাম স্টুডিও ঘিবলি ইনকর্পোরেশন। ১৯৮৫ সালে স্থাপিত এই স্টুডিওয় তৈরি হয়েছে জগদ্বিখ্যাত সব অ্যানিমে। যার মধ্যে ‘স্পিরিটেড অ্যাওয়ে’, ‘গ্রেভ অফ দ্য ফায়ারফ্লাইস’ কিংবা হাল আমলের ‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন’-এর মতো অসংখ্য ছবি রয়েছে। স্টুডিও ঘিবলির ছবিগুলি অসম্ভব যত্নে বানানো। প্রতিটি ফ্রেম হাতে আঁকা হয়। জলরং ও অ্যাক্রিলিকে রংও করা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কম্পিউটার অ্যানিমেশন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হলেও মূলত হাতেই আঁকা হয়। এবার এআই-এর মাধ্যমে মুহূর্তে সেই ছবি তৈরি করে দিচ্ছে চ্যাটজিপিটির 'ওপেন এআই'।