সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। বসিরহাট উপ সংশোধনাগারে সন্দেশখালির 'ত্রাস'। জেলবন্দি শাহজাহানকে জেরা করতে পারবে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আবেদনে সায় দিয়ে অনুমতি দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। শনিবার সকালে ৫ ইডি, ১ সিবিআই আধিকারিক এবং আইনজীবী আদালতে যান। আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল ল্যাপটপ, স্ক্যানার, প্রিন্টার-সহ বেশ কিছু কাগজপত্রও।
সন্দেশখালির 'ত্রাস' শেখ শাহজাহানের সম্পত্তি বিপুল। তাঁর বিরুদ্ধে বিঘার পর বিঘা জমি এবং ভেড়ি দখলের অভিযোগ রয়েছে। সন্দেশখালি, সরবেড়িয়া এমনকী কলকাতাতেও তাঁর সম্পত্তির রয়েছে। রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ শাহজাহান করেছেন বলেই অভিযোগ। বিদেশের সঙ্গে বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাঁর প্রায় ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই এবার শাহজাহানকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সে কারণে বসিরহাট মহকুমা আদালতে আর্জি জানিয়েছে ইডি।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে অভিষেকের বিরুদ্ধে পদ্মপ্রার্থী রুদ্রনীল? জল্পনা তুঙ্গে]
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা শাহজাহানের খোঁজ পাননি। পরিবর্তে জখম হন তাঁরা। শাহজাহান অনুগামীদের আক্রমণে ঝরে রক্তও। এই ঘটনার ৫৫ দিন পর গ্রেপ্তার হন শেখ শাহজাহান। প্রথমে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও পরে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেয়। সিবিআই হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
সিবিআই আদালতে দাবি করে, সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা ইডির উপর হামলার সময় বাড়ির কাছেই ছিলেন। তিনি সেখান থেকেই ফোন করে অনুগামীদের ইডির উপর হামলার নির্দেশ দেন। সুতরাং ইডির উপর হামলার ঘটনায় শাহজাহানই যে মূলচক্রী, তা আরও একবার আদালতে স্পষ্ট করে সিবিআই। সওয়াল জবাবের পর শাহজাহানকে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আরও একটি মামলায় ৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বসিরহাট উপ সংশোধনাগারে রয়েছেন সন্দেশখালির 'বাঘ'।