সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম নির্দেশে বাতিল এসএসসির (SSC) ২০১৬ সালের ২৬ হাজারের প্যানেল। নিমেষে চাকরি হারালেন ২৫, ৭৫২ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। তবে মানবিকতার খাতিরে চাকরি রইল নলহাটির ক্যানসার আক্রান্ত সেই সোমা দাসের। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সোমা চাকরিতে বহাল থাকবেন। কিন্তু এই রায়ে মোটেই খুশি নন তিনি। যোগ্যদের চাকরি বাতিল মানতে পারছেন না সোমা।
২০১৬ সালের এসএসসির (SSC) প্যানেলের বেআইনি পথে নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে বেশ কয়েকবছর আগে। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে দাবি করা হয়। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। রাস্তায় নামেন যোগ্য প্রার্থীরা। বছরের পর বছর চলেছে মামলা। ২০১৯ সালে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে যে চাকরিপ্রার্থীরা বেশ কয়েকমাস অনশন-আন্দোলন চালিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা সোমা দাস। আন্দোলনের মাঝেই চলেছিল তাঁর ক্যানসারের চিকিৎসা। পরবর্তীতে মানবিকতার খাতিরে তাঁকে নিয়োগের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বর্তমানে নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের মধুরা হাই স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত তিনি।
সোমা চাকরি পেলেও ২০১৬ সালের প্যানেলের চাকরিরতদের ভাগ্য দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল আদালতে। গত এপ্রিলে ২৬ হাজারের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এরপরই ঘটনার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। চাকরি বাতিল করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতবছর ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে যায় শিক্ষকদের একাংশ। বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত। ২০১৬ সালের ২৬ হাজারের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। ১২ শতাংশ সুদ-সহ টাকা ফেরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে,ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি থাকবে। এদিকে এদিনও স্কুলে গিয়েছেন সোমা। তিনি সেখানে বসেই জেনেছেন সুপ্রিম কোর্টের রায়। তাঁর কথায়, "যোগ্যদের চাকরির জন্য আন্দোলন ছিল। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় কোনওভাবেই কাম্য নয়। যোগ্যদের চাকরি বাতিল মেনে নেওয়া যায় না।"