সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের স্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার মামলার শুনানি পিছল। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি না আসার ফের পিছল ইডি’র দায়ের করা মামলার শুনানি। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে, সোমবার সকালে অনুব্রত মণ্ডল দিল্লি হাই কোর্টে ইডি’র ‘শোন অ্যারেস্ট’ নিয়ে মামলা দায়ের করেন। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
গত বছরের আগস্ট মাসে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে পাহাড় সমান সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এরপর ইডি’র নজরে পড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরার পর গত ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে ইডি।
[আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার হাই কোর্টে, এজলাসের গেট আটকে বিক্ষোভ আইনজীবীদের]
তদন্তের স্বার্থে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে দিল্লি (Delhi)নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেই মর্মে মামলাও দায়ের হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে অনেক অজানা তথ্যই বেরিয়ে আসবে। এই মুহূর্তে গরু পাচার মামলায় ইডির (ED) হাতে গ্রেপ্তার হয়ে সায়গল হোসেন তিহাড় জেলে বন্দি।
তবে সোমবারও ফের পিছল অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো ইডি’র মামলা। এদিন দিল্লি হাই কোর্টে বিচারপতি না আসায় মামলার শুনানি পিছল বলেই জানা গিয়েছে। আগামী বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিনই তৃণমূল নেতার ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।