সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তি কাটছে না লালুপ্রসাদ যাদবের। আরজেডির শাসনকালে বিহারে (Bihar) একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সব মামলায় এখনও জারি রয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযান। এবার আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) ঘনিষ্ঠ সুভাষ যাদবের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। শনিবার সুভাষের বাড়ি-সহ তাঁর ৭ ঠিকানায় তল্লাশি অভিযানে ইডি আধিকারিকরা।
লালুপ্রসাদ যাদবের শাসনকালে বিহারে একাধিক ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে আরজেডি (RJP) সরকারের বিরুদ্ধে। তার মধ্যেই অন্যতম অবৈধ বালি খাদান মামলা। ইডি সূত্রের খবর, বিহারের একাধিক জায়গায় অবৈধ বালি খাদান চালাতেন অভিযুক্ত সুভাষ যাদব (Subhash Yadav)। তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই চলত এই অবৈধ বালির কারবার। সেই মামলার তদন্তে নেমেই শনিবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে ইডি (ED)।
[আরও পড়ুন: দুহাজার কোটির মাদক চক্রের মাস্টারমাইন্ড তামিল প্রযোজক! NCB-র জালে অভিযুক্ত]
জানা যাচ্ছে, বিহার রাজনীতিতে লালুপ্রসাদ যাদবের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই সুভাষ। ২০১৮ সালে তাঁর বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল আয়কর বিভাগ। এর পর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আরজেডির টিকিটে প্রার্থীও হন তিনি। যদিও নির্বাচনী লড়াইয়ে হারের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। আরজেডির অভিযোগ, বিরোধী নেতা বলেই সুভাষের বিরুদ্ধে বিজেপির এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
[আরও পড়ুন: এক বালতি জলের দাম ২০০০! জলসংকট মোকাবিলায় একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা বেঙ্গালুরুতে]
উল্লেখ্য, জেডিইউ প্রধান নীতীশের ইন্ডিয়া ত্যাগের পর রাজ্যে বেশ চাপে আরজেডি। রাজ্যে শাসন ক্ষমতা হারানোর পাশাপাশি বিহারে লাগাতার চলছে এজেন্সির অভিযান। সম্প্রতি চাকরির বিনিময়ে জমি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবকে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এই মামলায় লালুর দিকে এজেন্সির নজর থাকলেও জামিন পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং দুই কন্যা মিসা ভারতী ও হেমা যাদব। একই সঙ্গে স্থায়ী জামিন পেয়েছেন এই মামলায় আরেক অন্যতম অভিযুক্ত হৃদ্যানন্দ চৌধুরিও। এবার বালি পাচার মামলায় ধীরে ধীরে জাল গোটানো শুরু করল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।