অর্ণব আইচ: এবার সন্দেশখালির উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের স্ক্যানারে। তাদের সম্পত্তির খতিয়ানও নিতে চান ইডির গোয়েন্দারা। সেই সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে ধৃত এই দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করছে ইডিও। সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা দায়ের করেছে ইডি। সেই সূত্র ধরে শাহজাহানের টাকার লেনদেনের খোঁজে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে ইডি তল্লাশিও চালিয়েছে।
একই সঙ্গে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানায় হওয়া চারটি মামলা এখন ইডির নজরে। এছাড়াও আরও দুটি মামলার উপরও নজর রেখেছেন ইডি আধিকারিকরা। সেগুলি হচ্ছে ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারিতে সন্দেশখালি থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলা। গণধর্ষণের মামলার মধ্যে একটিতে অভিযোগ সুশান্ত সর্দার ওরফে উত্তম ও শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবু এবং অন্যটির ক্ষেত্রে অভিযোগ সুশান্ত সর্দার ওরফে উত্তমের বিরুদ্ধে। এই দুই অভিযুক্তই গ্রেপ্তার হয়েছে সন্দেশখালি থানার পুলিশের হাতে। ইডির গোয়েন্দাদের দাবি, উত্তম ও শিবু দুজনই শেখ শাহজাহানের কতটা ঘনিষ্ঠ, সেই তথ্য তাঁরা সংগ্রহ করেছেন।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে দেহের সঙ্গে ৪ দিন বসবাস! তার পর এই কাণ্ড ঘটালেন প্রৌঢ়]
সেই সূত্র ধরে তাঁরা নিশ্চিত যে শুধু যে উত্তম ও শিবু শাহজাহানের বিভিন্ন দুষ্কর্মের সঙ্গীই নয়, তাঁর নামে ও বেনামে বিভিন্ন ব্যবসা এবং টাকা লেনদেনের তথ্যও জানে ওই দুই সঙ্গী। নতুন মামলার তদন্ত শুরু করার পর ইডি আধিকারিকদের সন্দেহ, শাহজাহান বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, এমনকী, ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমেও একাধিক দুর্নীতির টাকা পাচার করেছেন। এমনকী, বিদেশে শাহজাহানের দুর্নীতির টাকা পাচার হয়েছে, এমন সম্ভাবনাও ইডির গোয়েন্দারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সেই সূত্র ধরেই এই টাকা পাচারের ব্যাপারে শাহজাহান যে তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর উপর নির্ভর করতেন, সেই ব্যাপারে ইডি আধিকারিকরা অনেকটাই নিশ্চিত।