সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় কোনও কিছু ঘটার আভাস আগেই পেয়েছিল মিশর! যা নিয়ে ইজরায়েলকে নাকি আগেই সতর্ক করেছিল কায়রো। তাহলে কি হামাস হামলার কথা আগেই জানতেন ইহুদি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু? কেন আগে থেকে কোনও সতর্কতা নিল না তাঁর প্রশাসন? উঠছে এমন প্রশ্নও।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রধান মাইকেল ম্যাককল জানিয়েছেন, “আমাদের কাছে খবর রয়েছে মিশর কোনও বড় কিছু ঘটনার আন্দাজ পেয়েছিল। যা নিয়ে তারা ইজরায়েলকে সতর্ক করেছিল।” ইজরায়েলকে সতর্ক করার বিষয়ে মিশরের (Egypt) গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, “গাজা থেকে যে বড় কোনও কাণ্ড ঘটানোর ষড়যন্ত্র চলছে সেই বিষয়ে ইজরায়েলকে বারবার সতর্ক করেছিল কায়রো।” এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি আগে থেকেই সব কিছু জানতেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু?
[আরও পড়ুন: বেল্ট অ্যান্ড রোড সম্মেলনে চিনের অতিথি পুতিন, নজর রাখছে ভারত]
এদিকে, আমেরিকা (US) ও মিশরের তোলা এই দাবিগুলোকে বুধবার নাকোচ করে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। এই দাবি তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু গত শনিবার ইজরায়েলের বুকে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের বেনজির আক্রমণের পর থেকে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল এত বড় হামলার কোনও খবর ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থার মোসাদ পেল না? জেহাদি নেটওয়ার্কের নাড়ির খবর টেনে বের করতে যাদের জুড়ি মেলা ভার তারা ঘুণাক্ষরেও টের পেল না কোন বিপদ আসতে চলেছে?
বিশ্লেষকদের মতে, হামাস হামলার আগে থেকেই ডামাডোল চলছিল ইজরায়েলে। দুর্নীতির অভিযোগে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ইজরায়েলিরা। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে দেশের জনগনের সমর্থন পেতে চাইছেন তিনি। যার মাধ্যমে সুরক্ষিত হবে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার থেকে ইজরায়েলে বেনজির হামলা শুরু করেছে প্যালেস্টাইনের সুন্নি জঙ্গি সংগঠন হামাস (Hamas)। গাজা থেকে ইজরায়েলি ভূখণ্ডে হাজার হাজার রকেট ছুড়ছে ইরানের মদতপুষ্ট ওই সংগঠনটি। ইজরায়েলে ঢুকে অনেককে বন্দি করেছে হামাস বলেও খবর। তাদের গাজায় জঙ্গিদের ডেরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের কমপক্ষে ১২০০ নাগরিক। নিহত হয়েছেন ৫০ জন সেনাও। গাজায় জঙ্গিঘাঁটিতে ইজরায়েলের গোলাবর্ষণে প্রাণ হারাতে হয়েছে প্রায় ১১০০ জনকে।