সুকুমার সরকার, ঢাকা: পেটের তাগিদে মিশরে গিয়ে সেখানকার তরুণীর সঙ্গে প্রেম-বিয়ে। দু’বছর পর বিদেশি বউমা এল বাংলাদেশের নোয়াখালিতে। নববধূকে দেখতে ভিড় প্রতিবেশীদের। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের পাশে পেয়ে আপ্লুত বিদেশি বউমা।
মিশরের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম ডালিয়া। নোয়াখালির সেনবাগের বাসিন্দা গোলাম সারোয়ার বাবু। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে মিশরে থাকাকালীন বিয়ে করেন এই যুগল। বিয়ের পর এই প্রথম বাংলাদেশি স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি এসেছেন ডালিয়া। এবিষয়ে গোলাম সারোয়ার জানান, তিনি ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে মিশর যান। সেখানে তিনি একটি গার্মেন্টেসে চাকরি শুরু করেন। ডালিয়ার বাড়ির পাশেই থাকতেন তিনি। ওই তরুণীর ভাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল সরোয়ারের। এই সুবাদে মাঝে মধ্যে ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত ছিল তাঁর। এভাবেই ধীরে ধীরে ডালিয়ার সঙ্গে পরিচয়-প্রেম।
[আরও পড়ুন: কালীপুজোয় কলকাতায় মোতায়েন সাড়ে চার হাজার পুলিশকর্মী, নজর বাজি নিয়ন্ত্রণে]
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে সারোয়ার ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া তাঁর মা-বাবাকে রাজি করান। ২০২০ সালে ওই দেশের আইন মেনে মিশরে ওই তরুণীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন সরোয়ার। তাঁদের একটি সন্তানও ছিল। যদিও মৃত্যু হয়েছে খুদের।
এই প্রথমবার মিশরের বধূ এসেছেন বাংলাদেশে, শ্বশুরবাড়িতে। বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত। ডালিয়া বলেন, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তাঁর ভাল লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। তবে মাংসের চেয়ে আলু তাঁর বেশি পছন্দ। যদিও কারও সঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় কষ্ট পাচ্ছেন তিনি। শ্বশুর বাড়িতে দু’মাস থেকে আবার মিশর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।