সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহা—রাজনীতিতে অধুনা রীতিমতো নাটকীয় পরিস্থিতি। আর এর নেপথ্যে যিনি, তিনি একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde)। এই শিণ্ডেই বর্তমানে রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলেছেন রাজ্যের শাসক জোট ‘মহা বিকাশ অঘারি’র (Maha Vikas Aghadi)। সোমবার থেকে বেপাত্তা ছিলেন। মঙ্গলবার জানা যায়, মোদির রাজ্যে আছেন তিনি। আর শুধু শিবসেনার ১১ জন বিধায়ক নন, শিণ্ডের সঙ্গেই না কি সুরাতের রিসর্টে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের পাঁচ জন কংগ্রেস বিধায়কও। ফলে আরও বেড়েছে জল্পনা।
যদিও মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শিন্ডের ঘোষণা, “ক্ষমতা দখলের জন্য অতীতেও কোনও অনৈতিক কাজ করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।” তবু পরিস্থিতির গুরুত্ব মেপে বিদ্রোহী শিণ্ডেকে ‘বোঝাতে’ দলীয় দুই নেতাকে তড়িঘড়ি সুরাতে পাঠিয়েছেন সেনাপ্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)।
কিন্তু এই মুহূর্তে মহা—রাজনীতিতে সবচেয়ে চর্চিত ব্যক্তিত্ব আসলে কে? রাজ্য—রাজনীতিতে তাঁর উত্থানই—বা কীভাবে?
[আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতি পদে ‘রাবার স্ট্যাম্প’ থাকলে সেটা দেশের পক্ষে সুখকর নয়, বিস্ফোরক যশবন্ত সিনহা]
প্রথম জীবনে থানের একজন অটোচালক ছিলেন শিণ্ডে। তবে রাজনীতিও করতেন। শিব সেনার সদস্য ছিলেন। এক দুর্ঘটনায় দুই সন্তানকে হারান। চোখের সামনে নিজের ছেলে এবং মেয়েকে সাতারায় নদীতে ডুবে যেতে দেখেন। সেই ভয়ংকর ঘটনার প্রেক্ষিতে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন শিণ্ডে। রাজনীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাঁকে আটকান, তাঁর রাজনৈতিক গুরু আনন্দ দীঘে। দীঘের পরামর্শে সক্রিয় রাজনীতিতে ঢুকে পড়েন শিণ্ডে।
বিশেষ করে, নিজের রাজনৈতিক গুরুর মৃত্যুর পর থানেতে শিবসেনার খুঁটি শক্ত করতে শিণ্ডের ভূমিকা ছিল দেখার মতো। তাঁর তৃতীয় সন্তান, শ্রীকান্ত শিণ্ডে কল্যাণ থেকে সেনা সাংসদ। শিণ্ডে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় যথাক্রমে চারবার নির্বাচিত হয়েছেন, ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে। মহাবিকাশ অঘারি সরকার মহারাষ্ট্রে তৈরি হওয়ার পর শিণ্ডে নগরোন্নয়ন তথা গণপূর্ত মন্ত্রী হন। বর্তমানে তিনি মহারাষ্ট্রের নগর বিষয়ক মন্ত্রী। দিনকয়েক আগেই উদ্ধবপুত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে অযোধ্যা সফরেও গিয়েছিলেন। কিন্তু এহেন শিণ্ডে হঠাৎ দলের প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন কেন? কেনই —বা হঠাৎ বিধায়কদের নিয়ে বেহদিশ হলেন? সূত্রের দাবি, দলে উপেক্ষিত বোধ করছিলেন বলে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরেই ক্ষোভ জমছিল শিণ্ডের মনে।