সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফ্ল্যাট নিজেদের। তবে সেই ফ্ল্যাটের দখল নিয়ে বসে আছে ভাড়াটে। এই অবস্থায় নয়ডার (Noida) ওই ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে ১০ দিন, ১০ রাত কাটালেন প্রবীণ দম্পতি। শেষ পর্যন্ত আইনি সহায়তায় সমাধান হল সমস্যার। নিজেদের ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারলেন ওই দম্পতী।
অবসর জীবনে যে এত বড় অস্বস্তিতে পড়তে হবে ভাবেননি সুনীল কুমার এবং রাখী গুপ্ত। কর্মূসূত্র মুম্বইয়ে (Mumbai) থাকতেন ওঁরা। ভারত পেট্রোকেমিক্যাল কর্পোরেশনের কর্মী ছিলেন সুনীল কুমার। অবসরের পর নয়ডায় থাকবেন বলে ওই ফ্ল্যাট কেনেন। ফ্ল্যাটটি রয়েছে সেক্টর ১৬বি-তে। সবই ঠিক ছিল। গোল বাধে শ্রী রাধা স্কাই গার্ডেন সোশ্যাইটির ১৫ তলার ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিতে গিয়ে।
[আরও পড়ুন: আচমকা আম্বানির মতো ধনী! শ্রমিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা]
বৃদ্ধ দম্পতী ভেবেছিলেন, যতদিন না মুম্বই ছাড়ছেন, ততদিনের জন্য নয়ডার ফ্ল্যাটটিকে ভাড়া দেবেন। সেই মতো গত বছরের জুলাই মাসে ১১ মাসের চুক্তিতে ফ্ল্যাট ভাড়া দেন। কিছুদিন আগে চুক্তির সময় শেষ হয়ে আসায় ভাড়াটেকে সতর্ক করেন। যদিও ভাড়াটে মহিলা জানান, তিনি ও তাঁর সন্তান এখুনি ফ্ল্যাট ছাড়তে পারবেন না। এরপর জুন মাসের মধ্যে ফ্ল্যাট ছাড়তে অনুরোধ করেন দম্পতি। তাতে রাজি হন ভাড়াটে।
কিন্তু ১৯ জুলাই মুম্বই থেকে নয়ডার ফ্ল্যাটে এসে দেখেন, ফ্ল্যাট ছাড়েননি ওই মহিলা ও তাঁর সন্তান। কেন ছাড়েননি প্রশ্ন করতে ভাড়াটে পালটা জানিয়ে দেন, এখন তাঁর পক্ষে ঘর ছাড়া সম্ভব নয়। এরপরেই দম্পতি সিদ্ধান্ত নেন, ভাড়াটে ফ্ল্যাট না ছাড়লে ফ্ল্যাটের সামনের সিঁড়িতেই থাকবেন। তাই করেন ওঁরা। যদিও শেষ পর্যন্ত আইনি সাহায্যে নিজেদের ফ্ল্যাট ফিরে পান বৃদ্ধ দম্পতি।
[আরও পড়ুন: ইডির ক্ষমতা সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায় ‘বিপজ্জনক’, বিবৃতি তৃণমূল-সহ ১৭ বিরোধী দলের]
তবে দম্পতি অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সমস্যার বিষয়ে পুলিশকে জানানো হলেও তারা আমল দেয়নি। এরপর জেলাশাসকের অফিসে যোগাযোগ করেন ওঁরা। জেলাশাসক ও তাঁর দপ্তরের কর্মীদের উদ্বোগেই বৃহস্পতিবার নিজেদের ফ্ল্যাট ফিরে পান বৃদ্ধি দম্পতি। দম্পতির সিঁড়িতে রাত কাটানোর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।