সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রাজ্যের সমস্ত পুরপ্রশাসকের পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অপসারণ করতে হবে। তবে, উন্নয়নের কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে আগামী সোমবারের ওই পদগুলিতে নিয়োগ করতে হবে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। নির্বাচন কমিশনের (Election Commissiom) সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের বহু পুরসভা এবং পুরনিগমের নির্বাচন সময়মতো করানো যায়নি। যার ফলে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে প্রাক্তন পুরবোর্ডের সদস্যদের। কিন্তু নাগরিক পরিষেবা যাতে ব্যহত না হয় তা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে পুরসভার কাজ পরিচালনা করার জন্য প্রশাসকমণ্ডলী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বিদায়ী মেয়র বা পুরপ্রধানদেরই সেই প্রশাসকমণ্ডলীর মাথায় বসানো হয়। বিদায়ী কাউন্সিলরদের ওই প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে কলকাতা পুরনিগমের পুরপ্রশাসক পদে এতদিন অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। একইভাবে শিলিগুড়ি পুরনিগমের পুরপ্রশাসক পদে বসানো হয়েছিল অশোক ভট্টাচার্যকে।
[আরও পড়ুন: ‘যাঁদের মমতার সঙ্গে দেখা যেত তাঁরাই আজ মোদির পাশে’, রাজ্যে এসে কটাক্ষ কানহাইয়ার]
কিন্তু ভোটের বাজারে এই অস্থায়ী ব্যবস্থা চলবে না বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। দিন কয়েক আগে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিজেপি অভিযোগ জানিয়ে এসেছিল, নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পরও পুরসভার প্রশাসকরা বিভিন্নভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। পুরসভাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে ভোটের কাজে। বিরোধী শিবিরের এই অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসে কমিশন। জানিয়ে দেওয়া হয়, সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরিয়ে সোমবারের মধ্যে এই পদগুলিতে বসাতে হবে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের।
[আরও পড়ুন: প্রচারে বেরিয়ে ভবানীপুরে বিক্ষোভের মুখে বাবুল সুপ্রিয়, উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান]
যার অর্থ, আগামী দুদিনের মধ্যে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বা শিলিগুড়ির পুরপ্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য বা বিধাননগরের পুরপ্রশাসক তাপস চট্টোপাধ্যায়দের দু’দিনের মধ্যে প্রশাসকের পদ ছাড়তে হবে। একইভাবে রাজ্যের ১১২টি পুরসভাতেও কার্যত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই বসে আছেন পুরপ্রশাসকের পদে। তাদেরও আগামী সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে পদ ছাড়তে হবে।