সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপে বিকশিত ভারত সংক্রান্ত মেসেজ পাঠানো যাবে না। কেন্দ্রের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার পরেও এই বার্তা পাঠানো হয়েছে আমজনতার কাছে। সেই মর্মে একাধিক অভিযোগ পেয়েই এই নির্দেশ কমিশনের।
হোয়াটসঅ্যাপে বিকশিত ভারতের মেসেজ পাঠানো নিয়ে কমিশনের অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। দলের মতে, সরকারি অর্থে ভোটপ্রচার করেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। গত সপ্তাহে নির্বাচন ঘোষণার প্রাক্কালে মোদি ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষে দেশবাসীর সমর্থন চেয়ে খোলা চিঠি লেখেন। সেই চিঠি সবার কাছে পৌঁছয় ১৬ মার্চ। দেশে আদর্শ আচরণ বিধি জারি হওয়ার পর সরকারি টাকা ব্যবহার করে সরকারি প্রকল্পের প্রচার করে জনগণকে খোলা বার্তা দেওয়া হয়েছে যা নিয়মবিরুদ্ধ।
[আরও পড়ুন: ‘ছক করে কংগ্রেসকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইছেন মোদি’, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ নিয়ে তোপ সোনিয়া-খাড়গের]
শুধু তৃণমূল নয়, বিকশিত ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ নিয়ে আপত্তি তুলে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় নির্বাচন কমিশনে। আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েই কমিশন নড়েচড়ে বসে। বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা দিয়ে কমিশন জানিয়ে দেয়, এই মেসেজ পাঠানো বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রককে এই নির্দেশিকাও পাঠিয়ে দিয়েছে কমিশন। নির্দেশ কার্যকরের পরে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিশনের কাছে।
তবে কেন্দ্রের তরফেও সাফাই দেওয়া হয়েছে বিকশিত ভারতের মেসেজ নিয়ে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার আগেই এই মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সকলের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশ হওয়ার আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই চিঠি। তবে বেশ কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার কারণে হয়তো কয়েকজনের কাছে বার্তা পৌঁছতে দেরি হয়েছে। তবে এই বার্তা আর পাঠানো যাবে না বলে সাফ নির্দেশিকা দিয়ে দিল কমিশন।