বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) ইতিহাসে ভোটগ্রহণের আগে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করল নির্বাচন কমিশন। গত ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট ৪৬৫০ কোটি টাকা। অর্থ ছাড়াও বাজেয়াপ্ত হওয়ার তালিকার মধ্যে রয়েছে মাদকও।
১৮তম লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই কমিশন (Election Commission) জানিয়েছিল, এবারের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করবে কমিশন। কারণ আর্থিক প্রতিপত্তি থাকা দল বা প্রার্থী নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন, এই অভিযোগ ওঠে একাধিকবার। কোনওভাবেই যেন ভোটাররা প্ররোচনায় পা না দেন, সেটা নিশ্চিত করতে নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই সক্রিয় হয় নির্বাচন কমিশন। একাধিক সংস্থার সহযোগিতা এবং আমজনতার সাহায্যেই বিশাল অঙ্কের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বিচারব্যবস্থাকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র’, চন্দ্রচূড়কে চিঠি ‘উদ্বিগ্ন’ ২১ প্রাক্তন বিচারপতির]
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৩৪৭৫ কোটি টাকা। পাঁচ বছর পরে সেই অঙ্কটা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৬৫০ কোটি। এই বিশাল অঙ্কের মধ্যে ৪৫ শতাংশই মাদক বা নেশার দ্রব্য, এমনটাই জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের বিবৃতিতে। মোট ২০৬৮.৮ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১ মার্চ থেকে প্রতিদিনই ১০০ কোটি বা তার বেশি অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে কমিশন।
উল্লেখ্য, ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে নির্বাচন। মোট সাত দফায় ভোট হবে দেশজুড়ে। ৪ জুন নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের দিনই কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, দুর্নীতি রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার বিবৃতি প্রকাশ করে বিশাল অঙ্কের অর্থ বাজেয়াপ্ত করার কথা জানায় কমিশন। সবচেয়ে বেশি অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়েছে রাজস্থানে। ৭৭৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে সেরাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে উদ্ধার হয়েছে মোট ২১৯ কোটি।