সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চট্টগ্রাম পুরসভার (Chittagong city corporation) ভোটে নজিরবিহীন ঘটনা। ভোটের দিন এবার হিংসায় প্রাণ গেল এক যুবকের। গত ২৭ বছরের মধ্যে এই প্রথম প্রাণহানির ঘটনা। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ চট্টগ্রাম পাহাড়তলির এক ভোটকেন্দ্রের বাইরে গুলিতে মৃত্যু হয় আলাউদ্দিন নামে এক যুবকের। যার জেরে ভোট ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ল আরও কয়েকগুণ।
তবে চট্টগ্রামের এই ভোট ঘিরে পরিস্থিতি গোড়া থেকে উত্তপ্ত ছিল। ভোটের আগেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তার জেরে বুধবারের ভোটে ৯ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও ভোটের দিন হিংসায় প্রাণহানি রোখা গেল না। জানা গিয়েছে, এদিনের নির্বাচনে ১৩ নম্বর পাহাড়তলি ওয়ার্ডের ইউসেফ আমবাগান স্কুল কেন্দ্রের বাইরে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। আওয়ামি লিগ-সমর্থিত কাউন্সিল ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে আলাউদ্দিনের। নিহত আলাউদ্দিনকে নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছেন আওয়ামি লিগের (Awami league) বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমান। এই ওয়ার্ডের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘‘সকালে ভোট শুরুর আগে থেকেই ওয়াসিম উদ্দিনের লোকজন বিভিন্ন কেন্দ্র নিজেদের দখলে নিয়েছে। মধ্যরাত থেকে সন্ত্রাসীরা এখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে।’’
[আরও পড়ুন: ভিক্ষা চাওয়ার নামে শিশু-কিশোরীদের যৌন হেনস্তা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও]
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আগের নির্বাচনগুলোয় পরিস্থিতি যে খুব শান্ত ছিল, তেমনটা নয়। তবে ভোটের দিন মৃত্যুর ঘটনা আগে কবে ঘটেছিল, তা মনে করতে পারেন না অনেকেই। বিশেষ করে ২০১০ ও ২০১৫ সালের দুটি নির্বাচনে কোনও ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ২০০৫ সালের নির্বাচনে নিহত হয়েছিলেন শ্রমিক লিগের এক কর্মী। কিন্তু সেটাও ভোটের আগের দিন। এর আগে ১৯৯৪ সালে প্রথম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন ঘিরে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ২৭ বছরের ইতিহাসে এবার ভোটের দিন মৃত্যু ঘটল। বাংলাদেশে (Bangladesh) এই মুহূর্তে চলছে পৌর নির্বাচন। কোভিড পরিস্থিতির কারণে কয়েক দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথম দফা নির্বিঘ্নে হলেও, দ্বিতীয় দফায় বেশ হিংসার মধ্যেই চলেছে ভোটগ্রহণ পর্ব।