সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারের বাড়ি নেই! আশ্চর্য লাগলেও সত্যি। তবে বাড়ি তৈরি হচ্ছে দুর্গাপুরে। খুব শীগগিরই শুভ ‘গৃহপ্রবেশ’ হবে। সেই ‘ওয়ার রুম’ থেকেই ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করবেন প্রতিপক্ষকে। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রাক্তন বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ী ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ ইতিমধ্যেই ভোট যুদ্ধে নেমে পড়েছেন।
দুর্গাপুর, বর্ধমান শহরে জনসংযোগ করে নিজের ভোট যুদ্ধের কড়া ভিত প্রস্তুত করে রেখেছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার। প্রতিপক্ষ এখনও নির্দিষ্ট কেউ না থাকলেও যুদ্ধে খামতি রাখতে রাজি নন কীর্তি। কিন্তু সারাদিন ‘যুদ্ধ’ শেষে রাতে বিশ্রাম নেবেন কোথায়? তারই প্রস্তুতি চলছে ঝড়ের গতিতে।
[আরও পড়ুন: চাউমিন আনতে গিয়ে নিখোঁজ! একদিন পর উদ্ধার নাবালকের গলাকাটা দেহ, মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য]
এসেছেন প্রায় দিন পনেরো হলো। জনগর্জন সভার প্রস্তুতিতে দুর্গাপুরের টানা কর্মসূচি করে গিয়েছেন। ওই জনগর্জন সভায় তাঁর নামে প্রার্থী পদে সিলমোহর পড়তেই গিয়েছেন বর্ধমান শহরে। বর্ধমান থেকে ফের দুর্গাপুরে এসে পরদিনই গেছেন ফের বর্ধমানে। প্রার্থীর রাতের বিশ্রামের জন্যে দল বেছে নিয়েছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি হোটেলে। কিন্তু হোটেলে থেকে তো আর ‘যুদ্ধ’ করা যায় না। এটা আগেই বুঝেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। বিধায়ক কোটায় আগে থেকেই ডিএসপির কাছে আবাসনের আবেদন জানিয়ে রেখেছিলেন। বর্তমান দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার কিংবা সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ারও ডিএসপির বাংলো রয়েছে ইস্পাত নগরীতে। বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নামেও ডিএসপি ইস্পাতনগরীর অরবিন্দ অ্যাভিনিউতে একটি বাংলো অনুমোদন করেন। সেই বাংলোই হবে কীর্তি আজাদের ‘ওয়ার রুম’। সেখানেই থাকবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘চোখ উপড়ে নেব’, বাঁকুড়ায় হুঁশিয়ারি সৌমিত্রর, ‘এটাই ওর কালচার’, পালটা সুজাতার]
কীর্তি সাংসদ হলেও সেই ঠিকানার পরিবর্তন হবে না বলেই দাবি করেছেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “মানুষের সহজ হবে প্রতিনিয়ত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। দিন সাতেকের মধ্যেই ওই বাংলোয় বাস করতে পারবেন আমাদের প্রার্থী।” দুর্গাপুর থানার পাশেই সেই বাংলোতে এখন জোর কদমে নির্মাণ কাজ চলছে। বাইরে টিনের বেড়া দিয়ে ঢাকার কাজ শুরু হয়েছে। নিজের থাকা প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেন, “দল যেখানে আদেশ করবে সেখানেই থাকব। আমার নিজের কোনো চয়েস নেই। আমি যেখানে খুশি থাকতে পারি। সাধারণ মানুষ যাতে যোগাযোগ করতে পারে তাই তাঁদের মাঝেই থাকতে চাই।”