নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রাতভর জঙ্গল থেকে লোকালয়ে দাপিয়ে বেরিয়ে বনকর্মীকে খুন করল গজরাজ! বীরভূমে (Birbhum)হাতির হামলায় নিহত বনকর্মীর নাম খোকন প্রসাদ। সিউড়ির অবিনাশপুর গ্রামের এই ঘটনায় স্তম্ভিত বনবিভাগের আধিকারিকরাও। শেষমেশ অবশ্য উন্মত্ত হাতিটিকে (Elephant) ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয়েছে। তাকে আপাতত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠলে হাতিটিকে জঙ্গলে ছাড়া হবে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর।
শনিবার বর্ধমান থেকে অজয় নদ পেরিয়ে বীরভূমের দুবরাজপুরের লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল একটি হাতি। তার আগমনের খবর পাওয়া মাত্রই বনদপ্তরের কর্মীরা তাকে নিকটবর্তী ইলামবাজারের জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছিল। সেইমতো হুলা পার্টিকে সতর্ক করে রাতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু হাতি ততক্ষণে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। সিউড়ি (Suri) ২ নং ব্লকের অবিনাশপুরে গ্রামে শুরু হয়েছে গজরাজের তাণ্ডব।
হাতি ঢুকেছে লোকালয়ে, তাই ভোরের দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য মাইকিং করছিলেন বনদপ্তরের কর্মী খোকন প্রসাদ। ঠিক সেসময় তিনি একেবারে হাতির সামনে পড়ে যান। বুকে, পায়ে আঘাত লাগে তাঁর।
[আরও পড়ুন: ‘তুমি না থাকলে যে আমার কী হত…’, জন্মদিনে অনুষ্কাকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিলেন কোহলি]
সঙ্গে সঙ্গে খোকন প্রসাদকে সিউড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তখনই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি দেখে চিন্তিত হন চিকিৎসকরা। দিনভর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বিকেলের দিকে প্রাণ হারান খোকন প্রসাদ। অন্যদিকে, হাতিটিকেও কাবু করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন অন্যান্য কর্মীরা। শেষমেশ ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে তাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এরপর বিরাট ক্রেনে তুলে হাতিটিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পুরন্দরপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল কল্যাণ দাস বলেন, ”শনিবার থেকেই হুলা পার্টিকে প্রস্তুত করে আমরা হাতিটিকে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করছিলাম। আমাদেরই এক কর্মী স্থানীয়দের সতর্ক করার সময় হাতির সামনে পড়ে যান। প্রথমে গুরুতর আহত হন, পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আমরা হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে ঘুম পাড়িয়েছি। এখন চিকিৎসা হবে, তারপর তাকে জঙ্গলে ছাড়া হবে।”