টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: দিন কয়েক ধরেই উপদ্রব বাড়ছিল। লোকালয়ে ঢুকে আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল হাতির দল। তবে শুক্রবার তা চরমে উঠল। লোকালয়ে গজরাজের হামলায় প্রাণ হারালেন এক প্রৌঢ়। বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড় থানা এলাকার ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়াল সকাল সকাল। বনবিভাগের কর্মীরা এলাকাবাসীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। হাতির দলটিকে গভীর জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন।
[আরও পড়ুন: জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক রুশ বিদেশমন্ত্রীর, রাশিয়ার জন্য অর্থ বাজার খুলল ভারত]
রোজকার মতো শুক্রবার সকালেও প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েছিলেন ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বছর বাষট্টির রবি রায়। তখনই তিনি হাতির মুখোমুখি পড়ে যান তিনি। দলছুট একটি হাতি (Elephant) এদিন ভোর থেকেই গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছিল। রবি রায় দুর্ভাগ্যবশত হাতিটির একেবারে সামনে পড়ে যান। হাতি তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় রবি রায়ের।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যায় ৩ দশকের রেকর্ড ভাঙল BJP, ‘প্রধান বিরোধী’ তকমা হারাতে পারে কংগ্রেস]
এই ঘটনার পরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই এই এলাকায় বুনো হাতির একটি দল ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বনদপ্তর হাতি তাড়াতে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। সেই কারণেই এদিন হাতির মুখোমুখি পড়ে প্রাণ খোয়াতে হল ওই ব্যক্তির। বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগ (Forest) সূত্রে খবর, ৪০ থেকে ৫০ টি হাতি ওখানে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। এদিন ভোরে একটি হাতি দলছুট হয়ে এলাকায় ঢুকে পড়ে তাণ্ডব দেখায়। রাস্তায় গজরাজের রুদ্রমূর্তি দেখে সকলেই প্রাণভয়ে ছুট দেন। কিন্তু রবি রায় আর বাঁচতে পারেননি। ডিএফও (নর্থ) কল্যাণ রায় জানিয়েছেন, ”সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মৃত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”