সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতির যুগে একটুও সময় নষ্ট করা মানেই বড়সড় ক্ষতি। আর দুঁদে ব্যবসায়ী তথা বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের হিসাবে এই আপ্তবাক্য অক্ষরে অক্ষরেই মেনে চলেন টেসলা কর্তা এলন মাস্ক। আর তাই তাঁর সংস্থা স্পেসএক্স-এর হয়ে তিনি পরিকল্পনা করছেন এমন দ্রুতগতির মহাকাশযান তৈরি করার, যা ছয় থেকে নয় মাসের কোনও দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে মাত্র তিন মাসে। মানে ৯০ দিনে।
পৃথিবীর পড়শি গ্রহ, মঙ্গল নিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীদের আগ্রহ-কৌতূহলের অন্ত নেই। এই গ্রহে অভিযান আগেও হয়েছে, পরবর্তীতেও হবে। স্পেসএক্স-ও এই দলে রয়েছে। সাধারণত, এই গ্রহে পৃথিবী থেকে পৌঁছতে সময় লাগে ছয় থেকে নয় মাস। কিন্তু মাস্কের দাবি, তাঁরা সঠিক এবং উন্নত প্রযুক্তি সহযোগে এমন মহাকাশযান তৈরি করে লাল গ্রহে পাঠাবেন যা এই দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে মাত্র ৯০ দিনে। টেসলা কর্তার আশা, তাঁর সংস্থার যান স্টারশিপ, যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-নির্মিত হবে, সেটি পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব অতিক্রম করবে সমসাময়িক যে কোনও মহাকাশযানের তুলনায় অনেক, অনেক কম সময়ে। তাঁর দাবি, বর্তমানে স্টারশিপের বেগ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার, যে হিসাবে সেটি মঙ্গলে পৌঁছতে পারবে ৮০ থেকে ১০০ দিনে।
তবে এতেই শেষ নয়। মাস্ক চান, অদূর ভবিষ্যতে এই দূরত্ব আরও কমিয়ে আনতে। স্পেসএক্স কর্তা চান, ৯০ দিন নয়। স্টারশিপ মঙ্গলে পৌঁছক মাত্র ৪৫ দিনে! তবে তা করতে হলে অনেক কিছু প্রয়োজন। মাস্কের মতে, শুধু অতি-শক্তিশালী ইঞ্জিন হলেই চলবে না, এর জন্য দরকার মূল মহাকাশযানের সঙ্গে বেশ কিছু অতিরিক্ত জ্বালানি ট্যাঙ্কার, যাতে যাত্রার মাঝপথেই জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে ফের ভরিয়ে নেওয়া যায় অযথা সময় নষ্ট না করেই। স্পেসএক্স সংস্থা সূত্রে খবর, তারা তাদের স্টারশিপ সুপার হেভি মহাকাশযানের উন্নত এবং দ্রুততর সপ্তম সংস্করণ তৈরির জন্য এখন থেকেই কাজে লেগে পড়ছেন। ২০২৫ সালে এটির মহাশূন্যে পাড়ি দেওয়ার কথা।