সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের ‘পুনর্জন্ম’ নিয়ে যখন মাতোয়ারা দেশ, তখন বাঁচার লড়াইয়ে রাস্তায় ঠায় দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার মানুষ। মঙ্গলবার, দিল্লির যন্তর মন্তরে জমায়েত হন দেউলিয়া জেট এয়ারওয়েজের ৯,০০০ কর্মী। সংস্থাটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী আর্থিক সহায়তার দাবি জানান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: অশান্তি রুখতে তৎপর, জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠনের দায়িত্বে অজিত দোভাল]
ঋণের বোঝায় নুয়ে পড়া জেট এয়ারওয়েজ গত ১৭ এপ্রিল থেকে উড়ান পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় কর্মীদের মাইনেও মেটাতে পারেনি জেট। ফলে অথৈ জলে পড়েন সংস্থাটির প্রায় ২৫ হাজার কর্মী। যন্তর মন্তরে বিক্ষোভরত কর্মীদের দাবি, জেট এয়ারওয়েজের সমস্যার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কমিটি অফ ক্রেডিটরস কর্মীদের সাময়িক আর্থিক স্বস্তি দেওয়ার জন্য অন্তত এক মাসের মাইনে দিক। এই দলে পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার এবং কেবিন ক্রু সমেত প্রায় ৯,০০০ কর্মী রয়েছেন বলে দলের প্রতিনিধি আশীষ মোহান্তি সংবাদমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, ‘বেঁচে থাকার ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে অন্তত এক মাসের বেতন দেওয়া উচিৎ। দেউলিয়া প্রক্রিয়ার দ্রুত সমাধান দরকার এবং যত দ্রুত সম্ভব ফের পরিষেবা শুরু করা উচিত।’ দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে মোহান্তি জানান, দেনার দায়ে সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে অনেকেই মৃতুশয্যায়। এদিন কর্মীদের অনেকেই বিমান সংস্থার ইউনিফর্ম পরে এসেছিলেন।
উল্লেখ্য, বিপুল ঋণের বোঝায় আপাতত দেউলিয়া দেশের সব থেকে পুরনো বেসরকারি বিমানসংস্থা। মাঝখানে আলোচনা চললেও অবশেষে লোন দিতে অস্বীকার করে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া-র নেতৃত্বে ব্যাংক কনসোর্টিয়াম। ফলে চাকরি হারাতে হয়েছে কয়েক হাজার কর্মীকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দরবার করেছিলেন তাঁরা। যদিও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। ধুঁকতে থাকা বিমান সংস্থার জন্য করদাতাদের টাকা দিতে রাজি হয়নি কেন্দ্র সরকার। তারপরই জেটের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস থেকে সরে দাঁড়ান সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েল ও তাঁর স্ত্রী অনিতা গোয়েল।
[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা থেকে সমুদ্রপথে ঢুকছে আইএস জঙ্গি! কেরল উপকূলে জারি হাই অ্যালার্ট]
The post ‘আমাদের বাঁচান’, কাশ্মীর উল্লাসের মধ্যেই হাহাকার ৯ হাজার জেট কর্মীর appeared first on Sangbad Pratidin.