সুব্রত বিশ্বাস: সিংহ শাবক পাচারের তদন্তে হাওড়ায় হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি মনে করছে, পশ্চিমবঙ্গকে ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ হিসাবে ব্যবহার করে ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলিতে জাল বিছিয়েছে পাচারকারীরা।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার জয়পুরে ‘বিকল্প’ প্রার্থী পেল তৃণমূল, বিক্ষুব্ধ নির্দলকেই সমর্থনের সিদ্ধান্ত অভিষেকের]
গত বছর বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে স্করপিও গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল একটি সিংহ শাবক, তিনটি বিরল প্রজাতির সাদা লেঙ্গুর। ওই ঘটনায় ওয়াসিম রহমান, ওয়াজিদ আলি ও মহম্মদ গোলাম গাউস নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। যদিও পরে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। সেই মামলার সূত্র ধরেই আজ মঙ্গলবার হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের একটি বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সূত্রের খবর, পশু পাচারকারীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত রয়েছে। বেআইনি লেনদেনের তথ্য পেতে এদিনের এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে। ওই বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ, মোবাইল ও নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
রাজ্যে পশু পাচার নিয়ে তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানতে পেরেছিল বাংলাদেশ দিয়ে ওই পশু পাচারের বরাত পেয়েছিল বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ধৃত পাচারকারীরা। মোটা টাকার বিনিময়ে ওই পশু পাচার হচ্ছিল পশ্চিম ভারতে। সেবার সীমান্ত এলাকা দিয়ে সিংহ শাবক ও সাদা লেঙ্গুর গাড়ি করে পাচারের খবর পায় বনদপ্তর। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বনদপ্তরের আধিকারিকরা গাড়িটি আটকে পশুগুলিকে উদ্ধার করেন। গ্রেপ্তার করা হয় পাচারকারীকে। পরে তারা জামিন পেয়ে যায়। সেই মামলায় আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে পাচারকারীদের যোগে মোটা অঙ্কের লেনদেনের তথ্য পেতে ইডির হানা বলে সূত্রের দাবি।
উল্লেখ্য, গত মাসেই আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে চুরি যায় ৩টি বিরল ‘কিল বিলড টউকান’ (Keel-billed toucan) পাখি। গ্রাম বাংলায় এটি ধনেশ পাখি বলেও পরিচিত। এর আগেও আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে গোসাপ-সহ অন্য প্রাণী চুরি গিয়েছে। এর নেপথ্যে একটি আন্তর্জাতিক চক্রের হাত রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ভারত থেকে বাংলাদেশ বা নেপাল হয়ে হংকং, থাইল্যান্ড ও চিনের বাজারে পাচার হয়ে যায় বহু লুপ্তপ্রায় প্রাণী।