সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিউট্যান্ট করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব রুখতে ফের কড়া লকডাউনের পথে হাঁটল ইংল্যান্ড (England)। সংক্রমণ রুখতে সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বুধবার অর্থাৎ আগামীকাল থেকে লকডাউন শুরু হবে বলে জানান তিনি। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।
[আরও পড়ুন: অ্যাসাঞ্জকে এখনই প্রত্যর্পণ নয়, লন্ডন আদালতের রায়ে বিপাকে আমেরিকা]
এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে ‘বহুরূপী’ ভাইরাসের ভয়ানক হানার বিষয়ে বরিস বলেন, “করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এবার আমাদের হাসপাতালগুলির উপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ছে। বিশ্বের অনেক দেশই সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে। পরিস্থিতির দাবি মেনে এই মিউট্যান্ট ভাইরাসকে বাগে আনতে আমাদেরও একসঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে। তাই এবার কড়া লকডাউন করা হচ্ছে। যাতে এই নয়া ভাইরাস স্ট্রেনটি নিয়ন্ত্রণে আসে। সরকারের তরফে ফের আপনাদের বাড়িতে থাকতে আরজি জানাচ্ছি আমি।” এদিকে, মার্চের আগে যে স্কুল খোলার কোনওরকম সম্ভাবনা নেই, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বরিস জনসন। তবে, মার্চেই যে স্কুল খুলছে, এ কথা জোর দিয়ে তিনি বলতে পারেননি। পারিপার্শ্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখেই স্কুল খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি দেখা যায় করোনায় মৃত্যু কমে এসেছে, ভ্যাকসিন ভালো কাজে দিয়েছে, তা হলেই ফেব্রুয়ারির পর স্কুল খুলতে পারে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকেই লকডাউন শুরু হবে স্কটল্যান্ডে। গ্রেট ব্রিটেনের আরও দুই প্রদেশ–ওয়েলশ ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে আগেই থেকে চলছে লকডাউন। ফলে গোটা ব্রিটেনই এবার স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন (Covid-19 vaccine) দেওয়া শুরু করেছে ব্রিটেন (Britain)। কিন্তু নতুন ধরনের কোভিড-১৯ (COVID-19) ভাইরাস সে দেশে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সেই ভাইরাস থেকে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর ঘটনা সামনে আসে। তারপরই ইউরোপে কার্যত একঘরে হয়ে পড়ে ব্রিটেন। গত নভেম্বর থেকেই লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের এক তৃতীয়াংশ মানুষ লকডাউনের আওতায় ছিলেন। সেখানে এতদিন চালু ছিল থ্রি-টায়ার সিস্টেমের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু সংক্রমণ বাড়ায় সেখানে টায়ার ৪ লেভেলের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রিটেনের প্রাপ্ত করোনার এই নয়া স্ট্রেন আগেরটির চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এর মৃত্যুহার বেশি না হলেও সংক্রমণ হার অনেকটাই বেশি।