সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর নামের সঙ্গে স্বামী অমিতাভ বচ্চনের নাম জড়ানোয় ফের রাজ্যসভায় মেজাজ হারালেন জয়া বচ্চন। শুক্রবার অভিনেত্রী-সাংসদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ালেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। জয়ার অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে 'আপত্তিকর ভঙ্গি'তে কথা বলেছেন ধনকড়। বিরোধী সাংসদরা এর পর প্রতিবাদ করতে থাকেন। পরে তাঁরা ওয়াক আউট করেন।
সংসদের উচ্চ কক্ষে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়াকে বলতে শোনা যায়, ''আমি একজন শিল্পী। আমি শরীরী ভাষা ও অভিব্যক্তি বুঝতে পারি। আমরা আপনার সহকর্মী। আপনার কথা বলার ভঙ্গি ঠিক নয়।'' জবাবে ধনকড় বলেন, ''জয়াজি, আপনি অনেক সম্মান অর্জন করেছেন. আমি জানি একজন অভিনেতা আসলে পরিচালকের অধীনে। কিন্তু রোজ আমি নিজেকে পুনরাবৃত্ত করতে চাই না। রোজ রোজ শেখাতে চাই না। আপনি আমার কথা বলার ভঙ্গি নিয়ে বলছেন? অনেক হয়েছে। হতে পারে আপনি কেউ একজন। কিন্তু আপনাকে নিয়মকানুন মানতে হবে। আপনি সেলেব্রিটি হলেও তা আপনাকে মানতে হবে। এই ধারণা সঙ্গে নিয়ে চলবেন না, যে আপনারই কেবল খ্যাতি রয়েছে।'' পরে কক্ষের নেতা জে পি নাড্ডা ধনকড়ের উদ্দেশে জয়ার আক্রমণাত্মক মন্তব্যগুলি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সিতে সংরক্ষিত থাকবে পড়ুয়া বুদ্ধর স্মৃতিবিজড়িত নথি]
গত ২৯ জুলাই রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন হরিবংশ নারায়ণ জয়া বচ্চনের নাম বলার সময় বলে ওঠেন, ”অমিতাভ জয়া বচ্চন।” সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভপ্রকাশ করেন জয়া (Jagdeep Dhankhar)। বলেন, ”স্যার, শুধু জয়া বচ্চন (Jaya Bacchan) বললেই যথেষ্ট।” পরে বলেন, ”এটা এখন নতুন ব্যাপার। মহিলাদের নামের সঙ্গে স্বামীর নাম যুক্ত করা। যেন তাঁদের কোনও আলাদা অস্তিত্ব নেই বা নিজেদের কোনও অর্জন নেই।” পরে ফের গত শনিবার জয়া নিজেই নিজের পরিচয় দিলেন ”জয়া অমিতাভ বচ্চন।” যা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। কিন্তু ফের সোমবার তিনি আপত্তি করেন তাঁর নামের সঙ্গে স্বামী অমিতাভের নাম ব্যবহার নিয়ে। সেই সময় ধনকড় তাঁকে বলেন, ''নির্বাচনী শংসাপত্রে নিজের নাম বদলানোর একটি প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই তালিকাই আমাদের এখানে রয়েছে।''