সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সহজ খাতে আর বইছে না সম্পর্ক৷ রাহুল-প্রিয়াঙ্কার বিচ্ছেদ তো নতুন কিছু নয়৷ বছর দুয়েক আগেই এই অন্তরঙ্গ জুটিকে আলাদা হয়ে যেতে দেখেছে টলিপাড়া৷ তবে এবার একেবারে তিক্ততায় পর্যবসিত হল দুজনের সম্পর্ক৷ রাহুলের বিরুদ্ধে আইনের রাস্তা ধরেছেন প্রিয়াঙ্কা৷ খোরপোশের দাবি তো ছিলই, সেইসঙ্গে আনলেন মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও৷
মিষ্টি জুটি৷ পর্দায় এবং পর্দার বাইরেও৷ কিন্তু ২০১৬ তে সম্পর্কের দেওয়ালে ফাটল ধরে৷ তা আর জোড়া লাগেনি ঠিকই, তবে সদ্ভাব বজায় ছিল৷ কিন্তু নেপথ্যের কারণগুলি বোধহয় হুল ফুঁটিয়েই চলেছিল৷ এখন তাই তা হাটখোলা হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকল না৷ এদিন প্রিয়াঙ্কার তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিচ্ছেদে তাঁকে একরকম বাধ্যই করে রাহুল৷ বিয়ের পর থেকেই প্রিয়াঙ্কার উপর কর্তৃত্ব কায়েমের চেষ্টা ছিল অভিনেতার৷ পরে সন্তানের জন্ম হয়৷ সহজের মুখ চেয়েই প্রিয়াঙ্কা শারীরিক নির্যাতন পর্যন্ত সহ্য করেছেন৷ অভিনেতার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি তাঁর৷ শেষমেশ তাই বিচ্ছেদই সাব্যস্ত হয়, সেটাও রাহুলের চাপে বলেই জানাচ্ছেন অভিনেত্রী৷
[ ছেলের জন্য ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা চাই? প্রিয়াঙ্কার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন রাহুলের ]
প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, সহজের দায়িত্ব ও খরচ তিনিই বহন করছেন৷ বিচ্ছেদের পর থেকেই রাহুল ছেলের কোনও দায়িত্ব নেন না বলে প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ৷ গত বছর হাই স্কুলে ভরতির সময় ছেলের দায়িত্ব নেবেন বলেও পিছিয়ে আসেন রাহুল৷ কিছুদিন আগে সহজকে চাই না বলেও সাফ জানান রাহুল৷ সে রেকর্ডিংও প্রিয়াঙ্কার আছে বলে দাবি তাঁর৷ অনুরোধ উপরোধে কাজ না হওয়ায় শেষমেশ আইনি পথ ধরতে হয়েছে অভিনেত্রীকে৷ প্রিয়াঙ্কা কিছুদিন আগে রাহুলের নামে, বিশ্বাসভঙ্গ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন (Protection of women from domestic violence act 2005 ) এবং খোরপোশের মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়। তবে এদিন আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বারবার করে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাহুল তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত সেই গোড়া থেকেই৷ ছেলের দায়িত্ব নেবেন বলেও পিছিয়েও এসেছেন৷ এমনকী সহজকে চান না বলেও জানিয়েছেন৷ নিজের এই পথচলাকে তাই একলা মায়ের লড়াই হিসেবেই বলছেন তিনি৷
[ ছেলের পড়াশোনার খরচ দিতে অস্বীকার, রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ প্রিয়াঙ্কা ]
যদিও রাহুল এক সংবাদমাধ্যমকে আজই জানিয়েছেন, ছেলের দায়িত্ব নিতে তিনি কেন অস্বীকার করবেন৷ তাঁরই তো ছেলে৷ ছেলের খরচের জন্য তিনি প্রতি মাসে ২৫,০০০ টাকা করে পাঠাতেন৷ কিন্তু তার জন্য যে রসিদ কেটে রাখতে হবে তা কখনও ভাবেননি৷ এমনকী ছেলের পড়াশোনার খরচের জন্য কোটি টাকারও বেশি দাবি করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷ তাঁর বক্ব্য, তাঁর মতো বাংলা সিরিয়ালের একজনের অভিনেতার পক্ষে এক লপ্তে এত টাকা দেওয়া তো কোনওভাবেই সম্ভব নয়৷
অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, ছেলের খরচ নিতে অস্বীকার করলেও রাহুল তাঁর বিলাসবহুল জীবনে কোনও রাশ টানেননি৷ এই মানসিকতা মেনে নেওয়া যায় না বলেই আইনি পথে সমস্যা সমাধানের পথে হেঁটেছেন তিনি৷
The post ‘সহজকে চাই না’, প্রিয়াঙ্কাকে সাফ জানিয়েছিলেন রাহুল appeared first on Sangbad Pratidin.
