সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রানাঘাটের রানু মণ্ডল এখন ভারতবিখ্যাত। তাঁর কণ্ঠে মাতোয়ারা এখন গোটা বলিউড। হিমেশ রেশমিয়া তাঁকে দিয়ে ‘তেরি মেরি কাহানি’ গাইয়েছেন। শোনা গিয়েছেন, ভাইজান সলমনও নাকি মজেছেন রানুর সুরের জাদুতে। তিনি নাকি ‘দাবাং ৩’ ছবিতে তাঁকে দিয়ে গান গাওয়াতে চান। রানুকে নাকি ৫৫ লক্ষ টাকার বাংলোও উপহার দিয়েছেন তিনি। সেসব কি সত্যি? সত্যিই কি রানুকে মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকায় বাড়ি উপহার দিয়েছে সলমন? ফাঁস হল তথ্য।
[ আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে আমিশা! কী বললেন অভিনেত্রী? ]
দিন দুই আগে খবরে প্রকাশ পেয়েছিল, বিলাসবহুল সেই ফ্ল্যাটের দামও নেহাত কম নয়। জাতীয় স্তরের এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী রানুকে উপহার দেওয়া মুম্বইয়ের সেই ফ্ল্যাটের দাম ৫৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু সূত্রের খবর, সলমন নাকি গোটা বিষয়টাই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এমন কোনও ঘটনা নাকি ঘটেইনি বলে জানিয়েছেন ভাইজান। তিনি বলেছেন, রানু মণ্ডলকে কোনও বাড়ি তিনি উপহার দেননি। এমনকী ‘দাবাং ৩’ ছবিতে যে প্লেব্যাক করার খবর প্রকাশ্যে এসেছেন, তাও নাকি সত্যি নয়।
[ আরও পড়ুন: আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন, ‘দ্য কার্গিল গার্ল’-এর পোস্টারে আত্মপ্রকাশ মেঘবালিকা জাহ্নবীর ]
তবে এসব নিয়ে বোধহয় এখন ভাবিত নন রানাঘাটের রানু। তাঁর কণ্ঠে ‘তেরি মেরি কাহানি’র সফর এখন মোবাইলে মোবাইলে। সে গ্রামবাংলা হোক কিংবা শহর। কারণ, সেই মহিলা কণ্ঠ মাতিয়েছে আট থেকে আশি সবাইকে। চায়ের ঠেক, সবজি-বাজার থেকে সেলুন, পাড়ার মোড়ের আড্ডা থেকে হেঁশেল, রানুদির চর্চা এখন সর্বত্র। সদ্য হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে গান রেকর্ডিং করে মুম্বই থেকে ফিরেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এরাজ্যের লোক তাঁকে ছাড়বে কেন? তাই নবদ্বীপের একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে আবার গাইতে হল ‘তেরি মেরি কাহানি’। সেই ভিডিও এখন ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে নেটিজেনদের অভিযোগ, খ্যাতির স্বাদ পেয়ে রানুর মধ্যে পরিবর্তন এসেছে। অতীন্দ্র চক্রবর্তী নামে যেই ব্যক্তির দৌলতে রানাঘাট স্টেশন থেকে মুম্বইয়ে হিমেশের রেকর্ডিং স্টুডিও অবধি পৌঁছলেন, সেই সহৃদয় ব্যক্তিকেই ‘ভগবানের চাকর’ বলে নেটিজেনদের রোষানলে পড়েছেন রানু মারিয়া মণ্ডল। বাংলার রানুকে নিয়ে গর্বের পাশাপাশি এমন মন্তব্য শুনে অনেকেই কিন্তু ‘অকৃতজ্ঞ’ আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে রাগে ফুটছেন।
The post রানাঘাটের রানুকে কি সত্যিই বাড়ি উপহার দিলেন সলমন? ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.