স্টাফ রিপোর্টার: বাংলা ধারাবাহিকে সাঁওতালি (Santhali) ভাষা এবং রীতি-রেওয়াজ বিকৃত করা হয়। এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সাঁওতালি ছবির অভিনেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা সোরেন (Birbaha Hansda)। শুক্রবার ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (KIFF) ‘স্বল্পশ্রুত ভারত: ভারতীয় বিরল ভাষায় ছবি’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন বীরবাহা হাঁসদা, মনোরঞ্জন ব্যাপারী প্রমুখ। সেখানেই সাঁওতালি ভাষায় ছবি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ভাবনা সম্পর্কে নিজের বক্তব্য রাখেন বীরবাহা।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন চ্যানেলে সম্প্রচারিত বাংলা ধারাবাহিকে (Mega serial) সাঁওতালি রীতি-রেওয়াজকে বিকৃত করা হচ্ছে বলে সরব হন বীরবাহা সোরেন। এই নিয়ে কাজ করার আগে পরিচালক এবং প্রযোজকদের আরও একটু যত্নশীল হওয়া দরকার বলে মনে করছেন তিনি। বীরবাহা বলেন, “সাঁওতালি ভাষা, সাঁওতালি রীতি-রেওয়াজ সম্পর্কে আরও একটু গভীরে, বিশদে গবেষণা করে নেওয়া উচিত। কারণ সাঁওতালি রমণীরা কখনওই বহিরাগত, অপরিচিত কোনও ব্যক্তির সামনে নৃত্য পরিবেশন করতে চান না। আবার অন্য কোনও সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতেও স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। অথচ এই বিষয়গুলি বাংলা ধারাবাহিকে এখন প্রায়ই দেখানো হয়।” প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বাংলার অন্তত দু’টি ধারাবাহিকে উঠে আসছে এ ধরনের ঘটনার দৃশ্যায়ন। সেসব উল্লেখ করে বীরবাহার আরও সংযোজন, “আমরা এই বিকৃতির বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আইনি পদক্ষেপের চিন্তাভাবনাও করছি।”
[আরও পড়ুন: অক্ষয় তৃতীয়ার আগেই সামান্য কমল সোনা-রুপোর মূল্য, জেনে নিন কলকাতার আজকের বাজার দর]
এদিকে, শুক্রবারই বেলা বারোটায় নন্দন-৩ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হল উত্তরবঙ্গের (North Bengal)অবলুপ্তপ্রায় জনগোষ্ঠী ধীমলদের নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘ধীমল’। আশিস চক্রবর্তী পরিচালিত এই তথ্যচিত্র থেকে জানা যাচ্ছে, একসময়ে ধীমল নামের জনগোষ্ঠীর মানুষের বিপুল বসবাস ছিল উত্তরবঙ্গের সমতল থেকে শুরু করে একেবারে দার্জিলিং (Darjeeling) পর্যন্ত। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার যখন শৈলশহর গড়ে তোলে তখন ব্যাপক হারে উচ্ছেদ করা হয় ধীমলদের। সেই তাদের দুরবস্থার শুরু। ক্রমেই ভূমিহীন হয়েছে তাঁরা। স্বাধীন ভারতেও তাঁরা নিছক এক তফশিলি উপজাতি হিসাবে স্থান পেয়েছে। ধীমলদের নিজস্ব সামাজিক রীতি-নীতি, বিবাহ, বর্ষবরণ, খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, নাচ-গান ইত্যাদির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এই ডকুমেন্টারি (Documentary)।