shono
Advertisement

‘প্রাইভেট শোয়ের জন্য ঈশ্বর ডেকে নিয়েছেন!’, রাজু শ্রীবাস্তবের স্মৃতিচারণায় মীর

আর কী লিখলেন মীর?
Posted: 03:45 PM Sep 21, 2022Updated: 07:53 PM Sep 21, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড্ড মন খারাপ মীর আফসার আলির। আর হবে নাই বা কেন, প্রিয় মানুষকে হারালেন তিনি। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বড্ড অগোছালো। একসঙ্গে একটা ছবিও খুঁজে পেলেন না তিনি। হ্যাঁ, রাজু শ্রীবাস্তবকে হারিয়ে এতটাই মন ভার মীরের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক লম্বা পোস্টে মীর তুলে ধরলেন পুরনো অনেক কথা।

Advertisement

মীর লিখলেন, ”নাঃ … অনেক খুঁজলাম। একটাও স্টিল ছবি পেলাম না। অগত্যা ভিডিওর স্ক্রিনশট নিলাম।
মিডিয়া থেকে বেশ কিছু ফোন এলো। কথা হল। হয়তো সবাইকে একই কথা বললাম। জানি না। হিসেব করে অত কিছু ভেবে আজকাল বলতে পারি না। আমি এখানে যা লিখেছি বা লিখতে চলেছি, সেটাও একই। Star One-এর The Great Indian Laughter Challenge-এ কনটেস্টান্ট হিসেবে গিয়েছিলাম। এক্কেবারে প্রথম সিজনে নাম লিখিয়েছিলাম চ্যানেলের আমন্ত্রণে। সেখানেই প্রথম আলাপ। শুটিং-এর পর হোটেলে ঢুকে যখন যে যার নিজের ঘরে বসে পরের এপিসোডের প্রস্তুতি নিচ্ছে… and believe me when I write this. Those people were ’very seriously’ preparing COMEDY! মানে literally গম্ভীর আলোচনা ‘লোক হাসানো’ নিয়ে। সবাই যে যার রুমে ব্যস্ত আর অন্যদিকে একজনের মাথায় তখন অন্য প্ল্যান। অনেক রাতে হঠাৎ ফোন ঘরে ঘরে… “Raju Bhai Apne Room Me Bulaa Rahe Hain Sab Ko…” তারপর যেটা হত সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কমেডিয়ানদের মহাসমারোহ। একটা হোটেল রুমে। Sunil Pal, Naveen Prabhakar, Ahsaan Qureshi, current Punjab CM Bhagwant Mann & RAJU SHRIVASTAV. All under one roof in one room!
আমি ছিলাম silent observer… দেখতাম কত সহজে মিশে যাচ্ছেন প্রত্যেকের সঙ্গে। সেখানে কোনো ইগো নেই। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। সবাই বিনা পারিশ্রমিকে হাসছে আর হাসাচ্ছে। I couldn’t make it to the Top 6. I came back with a germ in my head. We should have something similar on Bangla Television. সেই স্বপ্নপূরণ করলো Zee Bangla 2006-এ। মীরাক্কেল। Cut to 2010 Mirakkel Season 5 Grand Finale Guest Judge: RAJU SHRIVASTAV সেটে ঢুকেই জড়িয়ে ধরলেন আমায়। তারপর অনেক কথা। সেগুলো এখানে বলবো না। ওই কথাগুলো ছিল শুধু আমার জন্য। তাই থাক। ওগুলো তোলা থাক…”

মীর তাঁর ফেসবুকে আরেকটি পোস্টও করলেন রাজুর উদ্দেশে, লিখলেন, ”ভগবান খুবই দুঃখে ছিলেন। হাসতে চেয়েছিলেন। তারপর, রাজুকে প্রাইভেট শোয়ের জন্য ডেকে নিলেন। ”

[আরও পড়ুন: হাসির জাদুকরের জীবনাবসান, প্রয়াত রাজু শ্রীবাস্তব]

নিদা ফজলির বিখ্যাত পঙক্তিই হয়তো ছিল রাজুর জীবনের মন্ত্র, ‘ঘর সে মসজিদ হ্যায় দূর, চলো ইয়ু করলে/ কিসি রোতে হুয়ে বাচ্চে কো হাসায়া যায়ে।’ বুড়ো থেকে বাচ্চা, সকলকে নির্মল হাসিতে ভরিয়ে দিতে জুড়ি ছিল না রাজুর। স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান তিনি। কথার সঙ্গে কথা জুড়ে তৈরি করতেন অনর্গল হাসির ফুলঝুরি। মনে হত, এর চেয়ে সহজ কাজ বুঝি আর হয় না। অথচ কে না জানে কারও মুখে হাসি ফোটানোই এই নিষ্ঠুর সভ্যতায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

রাজু যেন ছিলেন হ্যামলিনের সেই বাঁশিওয়ালা, যিনি একসঙ্গে বহু মানুষকে সম্মোহিত করতে পারতেন। এবং কী আশ্চর্য ‘ননভেজ’ জোকসের অশ্লীলতা ছা়ড়াই! কিন্তু একদিন যেমন বাঁশিওয়ালা বিদায় নিয়েছিল, রাজুও অতর্কিতে অন্তর্হিত হলেন। ষাট না পেরোতেই। রয়ে গেল তাঁর স্মৃতি। তাঁর বলে যাওয়া অসংখ্য জোক। সেগুলিই না হয় ঘিরে থাকুক আমাদের। এই কঠিন সময়ে নিরলস আনন্দের সেই সব খনিকে কে আর হাতছাড়া করবে! রাজু থেকে যাবেন এভাবেই। সাময়িক বিষণ্ণতা ও বিয়োগব্যথা পেরিয়ে চিরকালীন ফুরফুরে আনন্দের শনশন বাতাসের মধ্যে।

[আরও পড়ুন: সন্তান কোলে ছবি পোস্ট করলেন সোনম কাপুর, ছেলের কী নাম রাখলেন অভিনেত্রী? ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement