আকাশ মিশ্র: গল্প যাই হোক না কেন, যদি চোখের নিমেষে সাঁই সাঁই করে দৃশ্যগুলো বেরিয়ে যায়, তাহলে যেকোনও থ্রিলারই বক্স অফিসে বাজিমাত করতে পারে। ‘এক ভিলেন রিটার্নস’ ছবির পরিচালক মোহিত সুরি হয়তো এমনটাই ভেবেছিলেন। কিন্তু ভুল ভাঙল ‘এক ভিলেন রিটার্নস’ (Ek Villain Returns) ছবি মুক্তির পরেই। সিনেমার গল্পে যদি জোর না থাকে, তাহলে শুধুমাত্র এডিটিংয়ের শৈলী দিয়ে যে ছবি জমে না, তার প্রমাণ দিল এই ছবি।
ছবিটা ঠিক কেমন তা বলার আগে, গল্পটা একটু ছুঁয়ে নেওয়া যাক। আরভি (তারা সুতারিয়া) নাইটক্লাবের গায়িকা। হঠাৎই গায়েব হয়ে যায় আরভি। তাঁর প্রেমিক গৌতম (অর্জুন কাপুর) মনে করেন, তার জন্যই আরভির এই দশা। এতো গেল ছবির একটি গল্প, তবে ছবিতে গল্প রয়েছে আরেকটিও। অর্থাৎ ভৈরব ও রসিকার। রসিকা ওরফে তারা সুতারিয়া কাছে প্রত্যাখ্যাত হয় ভৈরব ওরফে জন আব্রাহম। আর তারপর থেকেই ভৈরবের মধ্যে জন্ম নেয় হিংসা। শহরে ঘটতে থাকে খুন। কে করছে খুন? ভৈরব নাকি গৌতম। নাকি অন্য কেউ। হঠাৎ করেই ছবিতে ঢুকে পড়ে এরকম নানা প্রশ্ন।
পরিচালক মোহিত এই দুই গল্পকে এক সুতোয় বেঁধেছেন। আর সেই সুতোয় একাধিক টুইস্টের জট। যা কিনা ছবি এগিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বিরক্তির সঞ্চার ঘটায়। অতি টুইস্টে দুর্বল হয় পড়ে প্লট। ফলে ছবির ক্লাইম্যাক্সেও রহস্যের জট ছাড়াতে গিয়ে একেবারে ল্যাজে গোবরে হয়ে যায় মোহিত। দুম করেই যেন ছবি শেষ হয়ে যায়। অবশ্য, ছবি শেষে ফের আরেকটি সিক্যুয়েলের আভাস দিয়ে যায় ‘এক ভিলেন রিটার্নস’।
[আরও পড়ুন: শাশ্বতর হাত ধরে ‘অচেনা উত্তম’ ছবিতে মহানায়ককে কতটা ফিরে পেলেন দর্শক? পড়ুন রিভিউ]
এই ছবি একেবারেই অভিনয়ের ছবি নয়। কারণ, জন আব্রাহম, অর্জুন কাপুর এডিটিং শৈলীর চাপে পড়ে অভিনয়ের সুযোগই পাননি। তবে হ্যাঁ, অ্যাকশন আছে ভরপুর। তারা সুতারিয়া, দিশা পাটানি তথৈ বচ।
শেষমেশ বলা যায়, এক ভিলেন রিটার্নস একেবারেই মাঝারি মাপের ছবি। ‘এক ভিলেন’ ছবিতে যদিও বা গল্পের জোর ছিল। ‘এক ভিলেন রিটার্নসে’র গল্প খুবই দুর্বল। শুধু ঝকঝকে উপস্থাপনা থাকলেই তো আর ছবি চলে না!