সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সাদা সাদা কালা কালা/ রং জমেছে সাদা কালা’…। হ্যাঁ, রং জমে গিয়েছে। সাদা-কালায় মিশে গিয়েছে দুই বাংলা। যে গান এতদিন দূর থেকে শুনে মুখে মুখে ফিরছিল সবার, আজ সেই গান একেবারে সামনে থেকে শোনার, দেখার পালা। শনিবার থেকে নন্দনে শুরু হয়েছে চতুর্থ বাংলাদেশ (Bangladesh)চলচ্চিত্র উৎসব। আর এবার এই উৎসবের মধ্যমণি একটিই সিনেমা – ‘হাওয়া’ (Hawa)।
ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury) অভিনীত সিনেমাটি ইতিমধ্যেই তা ব্লকবাস্টার হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তা যথেষ্ট আলোড়ন ফেলেছে। সেই কারণে এই ছবির একাধিক শো রাখা হয়েছে চলচ্চিত্র উৎসবের সূচিতে। শুরুর দিন নন্দনে দর্শকদের ভিড়ই বুঝিয়ে দিল, ওপার বাংলার সিনেমহল কতটা প্রিয় এপারের সিনেপ্রেমীদের কাছে।
শুরুর দিনই জোড়া শো ছিল ‘হাওয়া’র। বাংলাদেশি পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের তৈরি ছবিটি মৎস্যজীবী, মাঝিদের জীবনযাপনের প্রেক্ষাপটে তৈরি। চঞ্চল চৌধুরী এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র। এর আগে একাধিক সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় তাক লাগিয়েছে দর্শকদের। কাছ থেকে তাঁকে দেখার সুপ্ত বাসনা ছিল অনেকের মধ্যে। শনিবার নন্দনে (Nandan) দেখা গেল তাঁদেরই ভিড়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দিন, দুপুর ১টায় দেখানো হয় ‘হাওয়া’। বিনা টিকিটে ভাল ছবি দেখার বিশেষত ছবির নায়কের টানে দর্শকরা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন অনেক সকাল থেকে। সেই ভিডিও অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী নিজেই শেয়ার করেছেন ফেসবুকে (Facebook)।
নন্দন – ১’এর মতো বড় প্রেক্ষাগৃহ মুহূর্তে ভরতি হয়ে যায়। সন্ধে ৬.৩০এর শো-তে তো উপচে পড়া ভিড়। সিনেমা হলে জায়গা না পেয়ে অনেকেই ফিরে গেলেন ব্যাজার মুখে। শনিবার সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি বসে চঞ্চল চৌধুরীর অসামান্য অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন টলিউডের (Tollywood) বহু সেলিব্রিটি। ওপারের অভিনেতাকে কাছে টেনে নিয়েছেন এপারের সকলে। প্রাক শীতের ‘হাওয়া’য় কলকাতার সিনেপ্রেমীদের প্রাণ-চঞ্চলতা বেশ লক্ষ্য করা গেল প্রথম দিনই।
[আরও পড়ুন: ‘বিদেশ থেকে গরু আমদানির মতো চাহিদা নেই বাংলাদেশে’, বিস্ফোরক তথ্যমন্ত্রী হাছন মাহমুদ]
‘হাওয়া’ দেখানো হবে ৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর, নন্দন – ২’এ। দু’দিনই সন্ধে সাড়ে ৬টা থেকে শো। প্রথম দিনের ভিড়েই লুকিয়ে আগামীর সংকেত। তবে নন্দন-২ তুলনামূলক ছোট প্রেক্ষাগৃহ। আগেভাগে হলে পৌঁছে কতজন সেখানকার আসন দখল করতে পারেন, তার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাচ্ছে বইকি। এই ছবি যেন নতুন করে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও দৃঢ় করল। আর চঞ্চল চৌধুরী হলেন এপারের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের প্রাণের মানুষ।
এবারের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে কলকাতায় নিজের ছবির জনপ্রিয়তা ঠিক কতটা, তা বুঝে নিতে আগেই শহরে পা রেখেছেন চঞ্চল চৌধুরী। শনিবার উৎসবের সূচনায় বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মঞ্চে ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী তথা সাংস্কৃতিক জগতের অন্যতম ব্যক্তিত্ব, গায়ক বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসানদের পাশাপাশি এপারের তরুণ জনপ্রিয় অভিনেতা-পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্যকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।