সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বউমার হাতে নির্যাতনের শিকার কিংবদন্তি অভিনেত্রী মধুবালার (Madhubala) দিদি কনিজ বালসারা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এমন কথাই জানিয়েছেন কনিজের মেয়ে পারভেজ। তাঁর অভিযোগ, পুত্রবধূর অত্যাচারের জেরে একা নিউজিল্যান্ড থেকে ভারতে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন ৯৬ বছরের বৃদ্ধা।
পারভেজ জানান, ১৭-১৮ বছর আগে তাঁর মা নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন। ছেলে ফারুকের সঙ্গে থাকতেন। ফারুকই মাকে রাখার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বাবাকেও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে সমস্যা ছিল ফারুখের স্ত্রী সামিনার। বৃদ্ধ-বৃদ্ধার উপর অত্যাচার শুরু করে সে। তাঁদের জন্য খাবার পর্যন্ত রান্না করত না। ফারুক রেস্তরাঁ থেকে বাবা-মায়ের খাবার নিয়ে আসতেন।
[আরও পড়ুন: আরও রঙিন হবে কার্নিভ্যাল, একমাস ধরে দুর্গাপুজো সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী]
বাবার মৃত্যুর পর ছেলের ভরসাতেই নিউজিল্যান্ডে ছিলেন কনিজ। গত ৮ জানুয়ারি ফারুকের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, তারপর থেকেই কনিজের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। করোনা পরিস্থিতিতে ৯৬ বছরের বৃদ্ধাকে একা ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। সেই ফ্লাইট সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কলম্বো ঘুরে মুম্বইয়ে আসে।
পারভেজের অভিযোগ, কনিজকে যে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, সে খবর পর্যন্ত দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি সামিনা। ফ্লাইট মুম্বই পৌঁছানোর আট ঘণ্টা আগে এক আত্মীয়র কাছ থেকে মায়ের ফিরে আসার খবর পান তিনি। সেই সময় মুম্বইয়ে ছিলেন না পারভেজ। কোনওভাবে বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান সময়মতো। সেখানে এসে জানতে পারেন, ৯৬ বছরের বৃদ্ধার কাছে RT-PCR টেস্ট করার পর্যন্ত টাকা নেই। বাইরে থেকে সেই অর্থ পাঠান পারভেজ। মেয়ের সঙ্গে দেখা হতেই বৃদ্ধা ছেলের মৃত্যুর সংবাদ জানান। তারপর বলে ওঠেন প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে তাঁর। মাকে বাড়িতে নিয়ে এসে খেতে দেন পারভেজ। মধুবালার ছোট বোন মধুর ভূষণের কানেও এ খবর পৌঁছায়। শুনে হতভম্ব হয়ে যান তিনি। কীভাবে এমন কাজ সামিনা করতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারছেন না বলে জানান তিনি।