সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আবহে অনেক শব্দই শোনা যাচ্ছে। কেউ বলছেন ‘খেলা হবে’, কেউ দেখাচ্ছেন ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন। ‘রাগ কেন দিদি?’ স্লোগান লেখা ব্যানারে সেজেছে কলকাতার রাজপথ। কিন্তু ‘বি কে C’ কথাটি শুনেছেন কখনও? কী এই তিনটি শব্দের পুরো অর্থ? জানালেন খরাজ মুখোপাধ্যায় (Kharaj Mukherjee), শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra), হানি বাফনা, সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা, অশোক বিশ্বনাথন (Ashoke Viswanathan) এবং উদিতা লার্নিংয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। সকলে মিলে তৈরি করেছেন একটি মিউজিক্যাল স্যাটায়ার।
[আরও পড়ুন: একাকীত্বের কাহিনি বলবে জয়া শীল ঘোষের ‘দ্য গ্রিন উইন্ডো’, প্রকাশ্যে ছবির পোস্টার]
১১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের এই মিউজিক্যাল স্যাটায়ারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বি কে C’। যার পুরো অর্থ বাঙালির কাঁকড়া কালচার। যাতে পিছনে ছুরি মারা শেখানো হয়। “আমি যদি না পাই, তুমিও পাবে না” মতে বিশ্বাস করতে বলা হয়। গানের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, জগৎ শেঠ হোক বা মীরজাফর, বাঙালি চিরকাল অশুভ শক্তির দ্বারা পরিচালিত হয়ে এসেছে। সমস্ত ক্ষেত্রেই এই অশুভ শক্তিরা বিরাজমান। West Bengal-কে Waste Bengal-এ পরিণত করেছে বাঙালির এই কাঁকড়া কালচার। রাজনৈতিক দলগুলোও বাঙালির কাঁকড়া সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত এবং তাই তারা এই প্রবণতাকে ব্যবহার করছে। চলছে কাদা ছোড়াছুড়ির পালা। বিশ্বাসের থেকে অবিশ্বাস বড় হয়ে উঠছে। শুধুমাত্র অতীতের গৌরব ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সহনশীলতার থেকে অসহিষ্ণুতা বড় হয়ে যাচ্ছে। প্রশংসাকে ভুলতে বসেছেন বেশিরভাগ মানুষ। কাঁকড়া কালচারের এই চোরাবালি থেকে বের হতে না পারলে বাঙালি আবার নতুন করে ইতিহাস গড়তে পারবেন না বলেই মিউজিক্যাল স্যাটায়ারে জানানো হয়েছে।
ছবিটির মূল ভাবনা আলেখ্য তলাপত্রর। তিনিই চিত্রনাট্য লিখেছেন। সংগীত পরিচালনা করেছেন বিশ্ববিজয় সেন। গীতিকার সৌভিক দে। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্পাদনা করেছেন সৌনক রায়। প্রযোজনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন ভিকি হোর। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তাপসী রায়। এঞ্জেল ডিজিটালে ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে ‘বি কে C’। গানটি শুনতে পাবেন উইঙ্ক মিউজিক, হাঙ্গামা মিউজিক, আমাজন প্রাইম মিউজিক, জিওসাভন, রেসো অ্যাপে।